এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘চলতি বছরেই মাকে হারিয়েছি, পুজোতে মায়ের হাতের রান্না খুব মিস করব’ : সুজয়

সুস্মিতা ঘোষ: আজ থেকেই শুরু হল দেবীপক্ষের। কাল থেকেই ভোরের মহালয়া দেখতে নানা পরিকল্পনা দেখার জন্যে নানা পরিকল্পনা সেরেছিলেন গোটা বঙ্গবাসী। কেউ কেউ বাড়ির ছাদে বা পাড়ার ক্লাবে পিকনিকে সারা রাত মেতেছিলেন, আবার কেউ কেউ পিকনিক নয় কালী পুজোর মতো বাজি ফাটিয়েই দেবী পক্ষের সূচনা করেছেন। যাই হোক, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। উৎসবের মরসুমে গরিব-ধনীর কোনও ভেদাভেদ নেই, পুজো সবার। যে ভাবে খুশি এই চারটে দিন উল্লাসে মেতে উঠবেন সবাই। কেউ ১০ টা নতুন নতুন পোশাকেও সন্তুষ্ট নন, আবার একটা পোশাক দিয়েই সন্তানের মুখের হাসি দেখে চোখ জুড়িয়েছে বাবা-মায়ের। আর সন্তানের মুখে হাসি ফুটবে এই ভেবেই বাবা-মায়ের কঠোর পরিশ্রমের সিংহভাগ সন্তানকে দিয়ে দেন। তা যেন সন্তানের কাছেও সর্বকালের সেরা উপহার হয়ে থাকে। সুতরাং এই চারটে দিন মা দুর্গার আগমনে মেতে ওঠেন শহর কলকাতা থেকে গোটা বাংলা।

আমজনতা থেকে সেলিব্রিটি সবাই দুঃখ-কষ্ট ভুলে এই চারটে দিন শুধুই আনন্দের জোয়ারে ভেসে যান। আমজনতারও যেমন পুজো পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়, তেমনি হাজার শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার মধ্যেই তারকারাও সেরে ফেলেন তাঁদের পুজোর পরিকল্পনা। আর বর্তমানে তারকাদের পুজো পরিকল্পনা গুলি জানতেও রীতিমতো মুখিয়ে থাকেন সবাই। আজ আমরা জানাব বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের (Sujoy Prasad Chatterjee) পুজো পরিকল্পনার বিষয়ে। টলিউডে ছোট-বড় উভয় পর্দাতেই রীতিমতো রাজ করেন এই অভিনেতা। বিশেষ করে, অভিনেতার ফ্যাশন সেন্স দেখে হার মানতে বাধ্য টপক্লাস ফ্যাশন ডিজাইনাররাও। স্টার জলসার একাধিক ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাঁর দেখা মিলেছে। সম্প্রতি, এই অভিনেতার পুজো পরিকল্পনা জানতে ‘এই মুহূর্তে’ প্রতিনিধি সুস্মিতা ঘোষ ফোনের মাধ্যমেই অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি আমাদেরকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন, পাশাপাশি পুজোর ফ্যাশনের বিষয়ে অসাধারণ কয়েকটি টিপস দিয়েছেন। আর অভিনেতার অমায়িক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হলাম আমরাও।

কেমন আছেন দাদা

খুব ভালো আছি ভাই

পুজোর পরিকল্পনা

ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী তিনদিনই প্রোগ্রাম রয়েছে আমার। ষষ্ঠীর দিন কবিতা পাঠের একটি অনুষ্ঠান রয়েছে, যেটিকে আমি প্রাপ্তি মনে করছি। কারণ পুজোর দিনগুলিতে সবাই একটু উত্তেজিত গানে মজে থাকেন। সেখানে আমি কবিতা পাঠ করতে যাব। তাতে আমি গর্বিত। এছাড়া সপ্তমীর দিন একটি ফাইভ স্টার রেস্তোরাঁতে গানের অনুষ্ঠান আছে, সেখানে আমি সঞ্চালনা করব। একজন বিশিষ্ট গায়কের অনুষ্ঠান রয়েছে সেখানে। এছাড়া অষ্টমীর দিন অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে একটি প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে আমি কবিতা পাঠও করব আবার গানও করব। আর নবমীর দিন আমি বেরিয়ে যাচ্ছি কলকাতার বাইরে।

দু বছর পর করোনা কাটিয়ে কলকাতা আবার পুরোনো মেজাজে ফিরেছে, এই নিয়ে আপনি কী বলবেন?

কোভিড এখনও শেষ হয় নি, সুতরাং আমি বলব সবাইকে মাস্ক পরে মণ্ডপ দর্শনে যেতে। বিশেষ করে যেখানে জমায়েত বেশি সেখানে তো অবশ্যই মাস্ক পরতেই হবে। বিশেষ করে একটি বয়সের পর মাস্ক না পরে বেরোনো একেবারেই উচিত নয়। তবে মাস্ক আমাদের এখন গয়না বলা চলে, সুতরাং গয়না হিসেবেই একে সবসময় সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।

আপনি কী পরেন মাস্ক?

না আমিও খুব একটা পরিনা। তবে যদি খুব জমায়েতে যাই অবশ্যই পরে যাই। কলকাতা তো এই বছর একেবারে জমজমাট। বৃষ্টি যেন না হয় এটাই প্রার্থনা। নয়তো পুজোর মজাটাই মাটি হয়ে যাবে। যদিও শুনেছি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। যাতে এমনটা কিছু না হয় এটাই প্রার্থনা। সবাই ঘুরতে বেরোবে, নতুন নতুন জামাকাপড় পরে, যাতে নষ্ট না হয় কিছু। তবে আমার মনে হয় কিছুই হবেনা, মা দুর্গা প্রসন্ন হবেন।

পুজোর ফ্যাশনের কিছু টিপস

না না, আমি তো অত বড় ফ্যাশন ডিজাইনার নই, এই ব্যপারে একটাই কথা বলতে পারি, নিজেকে যেটা মানাবে সেটাই পরুন। যেটা নিজের আরাম দায়ক হবে। তবে আমি লিঙ্গ নির্ধারণ করে পোশাকের বিচার করিনা। আমি ট্রেডিশনাল এবং ট্রেন্ডি দুই পোশাকেই বিশ্বাসী। পূজোতে যে শুধুই ট্রেডিশনাল পোশাক পরতে হবে তার কোনো মানে নেই। ফ্যাশন টা নিজের কাছে। আমি একটা ধুতির উপরে একটি টি শার্ট পরে তার উপর গয়না পরে সাজতে পারি। এটা আমার পছন্দ। সঙ্গে আলাদা ফ্যাশনও হয়ে গেল। তবে এখন মেয়েরা বেশি হ্যান্ডলুম শাড়ীতে বিশ্বাস রাখছেন। সেগুলো পরতে পারেন।

কলকাতার থিম পুজোতে বিশ্বাসী

থিম পুজো ভালো লাগে, তবে থিম পুজো এমনটাই হওয়া উচিত যে থিম প্যাণ্ডেল মানুষের উপকারে লাগবে। এছাড়াও পরিবেশ সচেতনের দিকেও কোনো বার্তা দেবে। আমি মনে করি, ওয়েস্টার্ন কালচারের উপর বিশ্বাস না রেখে দেশীয় ভাবমূর্তিতেই বিশ্বাস রাখা উচিত। যেমন, প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে থিম করা যেতে পারে। প্যাণ্ডেল সাজানো যেতে পারে বা মানুষকে আরও গভীরে গিয়ে বার্তা দেওয়ার জন্যে মৃন্ময়ী মা-কেও প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে। দুর্গা মূর্তি শুধুই যে মাটি দিয়ে গড়া উচিত তার কিন্তু কোনো রুলস নেই। সমাজকে এই ভাবেও বার্তা দেওয়া যেতে পারে। মোট কথা, পরিবেশ নিয়ে সচেতন হতে হবে সবাইকেই। সেটা যদি থিম প্যাণ্ডেলের মাধ্যমে হয় তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না।

দুর্গা পুজো আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে, এতে কলকাতা বাসি হয়ে আপনি কতটা গর্বিত

অত্যন্ত গর্বিত। আমার মনে হয় দুর্গা পুজো আন্তর্জাতিক সম্মান না পেলেও কোনও যায় আসতো না কলকাতার পুজোর।

শেষে পুজোর খাওয়া দাওয়া, ডায়েট করেন

হ্যাঁ, করি। কিন্তু পুজোর সময় কিছুই মানা হয় না। এছাড়া এমনিতে আমি ইউরোপিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করলেও পুজোতে আমি বাঙালী খাবারই খেতে বেশি পছন্দ করি। যেমন, চিংড়ি মালাইকারী, ইলিশ ভাপা, পোলাও এগুলো। তবে এই বছর মা নেই। মাকে খুব মিস করব। কয়েক মাস আগেই মারা গিয়েছেন। মায়ের হাতের একটি রান্না ছিল, যা ষষ্ঠীর দিন মা করত। কিন্তু এই বছর আর হবে না। যা খুব মিস করব। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পুজোর দিনগুলো বাড়িতে বেশিক্ষণ থাকবো না।

পরবর্তী কাজ

দুটি ছবি করার কথা চলছে।

এই মুহূর্তের দর্শকদের কী বলতে চান

শুভ শারদীয়ার অনেক শুভেচ্ছা। তবে সবাই ভালো থাকবেন, ভালো করে পুজো কাটাবেন। তবে অবশ্যই করোনাকে ভুলে নয়, সতর্কতা অবলম্বন করে পুজো আনন্দে কাটাবেন।

সেলিব্রিটিদের পুজোর পরিকল্পনার বিষয়ে সব আপডেট জানতে এই মুহূর্তের সঙ্গে থাকুন সবসময়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভোট ফর মা’ এই স্লোগানে টালার অলিগলির দেওয়াল রাঙিয়ে তুললেন মহিলারা

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

জানেন কী, ভূত চতুর্দশী কেন পালিত হয়, ১৪ শাকই বা কেন খাওয়া হয়?

কালীপুজোর রাতে প্রদীপের শিখাতে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা

কালীপুজোর দিন রাতে আগুন এড়াতে এই ধরণের পোশাক পরুন..

লোহা এবং ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা, জনজোয়ারে ভাসবে ব্যারাকপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর