সুস্মিতা ঘোষ: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো আসছে, নাক-কান বুঝে এখন সবাই শপিং করতে ব্যস্ত। পুজোর চারদিন গুলিতে কী কী প্ল্যান, কোথায় যাওয়া হবে সবটারই প্রস্তুতি পরিকল্পনা চলছে তুঙ্গে। তবে অনেকেই পুজোর সময়ে যেহেতু একটা লম্বা ছুটি পাচ্ছে, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেরিয়ে পড়েন বহু দূরে। হ্যাঁ, এবারেও তেমনটা প্ল্যান রয়েছে টলিউডের মিষ্টি অভিনেত্রী অদ্রিজারও। সেলিব্রিটিদের পুজো পরিকল্পনা জানতে আমরা প্রতি মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছি সেলিব্রিটিদের দরবারে। এত কাজের ফাঁকেও একটি মিষ্টি আড্ডা সেরে ফেলছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে। এবার আমরা যোগাযোগ করেছিলাম বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অদ্রিজা রায়। যেমন তিনি রূপে লক্ষ্মী তেমনি গুনে সরস্বতী। তাঁর টানটান মেদহীন সেক্সি ফিগারে ভিরমি খান তাঁর অসংখ্য পুরুষ ফ্যানেরখ। ওয়েস্টার্ন থেকে ট্রেডিশনাল সব পোশাকেই নায়িকার জুড়ি মেলা ভার। সবেতেই তিনি মানানসই। তাঁর মুখের এক চিলতে হাসি যেন সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন, কালারস বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মৌ-এর বাড়ি’ এবং স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘বিক্রম বেতাল’ এ। দুই ধারাবাহিকেই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আর দুটো ধারাবাহিকের তাঁর অভিনয় নজরকাড়া। সম্প্রতি, আমরা ফোনালাপেই সেরেছি নায়িকার সঙ্গে একটি একক্লুসিভ সাক্ষাৎকার, জেনেছিলাম নায়িকার পুজোর প্ল্যান কী, সঙ্গে তাঁর পুজো ফ্যাশন নিয়েও করেছি বাতালাপ। এত ব্যস্ত একজন অভিনেত্রী হয়েও দারুণ সহযোগিতা করলেন তিনি আমাদের সঙ্গে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অদ্রিজার এই বছরের পুজোর পরিকল্পনাগুলির সম্পর্কে। তাঁর পুজোর ফ্যাশনের সঙ্গে আপনার ফ্যাশনের কতটা মিল।
নায়িকাদের সাজ বলুন বা পোশাক সবাই খুব পছন্দ করেন, তাঁদের ফলো করেন, তাই পুজোর দিনগুলিতে আপনি কী ভাবে সেজে উঠবেন, মেতে উঠবেন….
বরাবরই আমার পুজো কাটে আমার বাড়িতে। পুজোর দিনগুলিতে আমি দক্ষিণেশ্বরে থাকবো। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে থাকবো সকালে। আর রাতে দক্ষিণ কলকাতায় আমার ফ্ল্যাটে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার প্ল্যান। এছাড়া কিছু নির্দিষ্ট পুজো মণ্ডপ হপিং।
পুজোর পরিক্রমা কিছু আছে
হ্যাঁ, কিছু জায়গায় কথা হয়েছে। সেখানে যাব। তবে আরও কিছু রয়েছে তা শ্যুটিংয়ের সঙ্গে সেই সময়ের মিল হয়ে যাচ্ছে বলে এখনও ভাবিনি কিছু।
পুজোর সময় শ্যুটিং আছে
হ্যাঁ, পঞ্চমী পর্যন্ত, ষষ্ঠী থেকে আর কাজ করছিনা।
ষষ্ঠী থেকে টানা লক্ষী পুজো পর্যন্ত শ্যুটিং থেকে বিরতি, কী করবেন, আলাদা কোনো প্ল্যান!
আমি পুজোর সময় কিছুদিন কলকাতায় থেকে ঘুরতে চলে যাই। আগের বছরও চলে গিয়েছিলাম কেরালা। তবে এই বছর যেহেতু ছুটিটা একটু বেশিদিনের তাই দশমীর দিন ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
পুজোর ফ্যাশন, এই কটা দিন ট্রেডিশনে সাজবেন নাকি ওয়েস্টার্নে?
পুজোর দিনগুলিতে আমি শাড়ী পরতেই পছন্দ করি, খুব বেশি হলে সালোয়ার-কামিজ।
অঞ্জলি দেওয়া হয়?
হ্যাঁ, দেওয়া হয়, দেওয়া হয়। যদি কলকাতায় থাকি অবশ্যই সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন নতুন জামা-কাপড় পরে অঞ্জলি দিই। তবে গত বছর যেমন চলে গিয়েছিলাম ঘুরতে তাই দেওয়া হয় নি অঞ্জলি।
সুতরাং পুজো নিয়ে এই বছর দারুণ জমজমাট পরিকল্পনা তাইতো!
অবশ্যই, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা। মজা তো হবেই।
পুজোতে ডায়েটের কী পরিকল্পনা
আমি একদম ডায়েট করিনা। পুজোর দিনগুলোতে তো নয়ই। বরং আমি খেতে খুবই ভালোবাসি। পুজোর সময় সেগুলি আরো দ্বিগুন তিনগুন হয়ে যায়। আমি সারা বছর একদমই ডায়েট করিনা।
পরবর্তী প্রজেক্ট
আগে দুটো সামলাই, এখন পুরো ভরা শিডিউল। একদিকে ‘মৌ-এর বাড়ি’, অন্যদিকে ‘বিক্রম বেতাল’। এছাড়া কালার্সের মহালয়া অনুষ্ঠানে ‘দেবী ভুবনেশ্বরী’ হিসেবে রয়েছি।
এই মুহূর্তের দর্শকদের জন্যে কী বলবেন
সবাইকে বলব দু বছর পর ফের পুজো আগের মতন করে উপভোগ করতেন পারবো। কোনো রকম বাঁধা আর থাকবে না। তবে একটাই কথা সবাই যেন সতর্কতা অবলম্বন করে। যাতে যে দিনগুলি আমরা ২ বছর আগে পেরিয়ে এসেছি সেই দিনগুলি আর ফিরে পেতে না হয়। আর সবাইকে জানাই শুভ শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
পুজো সামনে। আমাদের ‘এই মুহূর্তে’ নিউজ পোর্টালের পেইজে আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের পুজো সম্পর্কিত নানা আপডেট দিচ্ছি। তাই প্রতি মুহূর্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন এটাই আমাদের কাম্য।