এই মুহূর্তে

ভিড় এড়াতে পুজোয় আর বেরোনো হয় না, আক্ষেপ সাবিত্রীর

সুস্মিতা ঘোষ: আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর আমেজ প্রতিটা বঙ্গবাসীর মনে প্রাণে। শপিং থেকে শুরু করে পুজোর চারটে দিন কার কী পরিকল্পনা সবটা নিয়েই এখন প্রত্যেকের মনে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। কথায় আছে বাঙালীর বারোমাসে তেরো পার্বণ। আর এর সূত্রপাত দুর্গাপুজো থেকেই। এই দুর্গাপুজো নিয়ে অনেকের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। সেই স্মৃতি এদিন আমাদের সঙ্গে ফিরে দেখলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্বনামধন্য অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। যাঁকে নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। মহানায়ক উত্তম কুমারের আমলের অন্যতম সুপারস্টার অভিনেত্রী হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। যার অভিনয়ে আজও রয়েছে নস্টালজিকের ছোঁয়া। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। না বেশি কথা বাড়াবো না। নতুনদের পাশাপাশি আমরা পুরোনো নায়িকাদেরও পুজোর খোঁজ রাখছি। জেনে নিচ্ছি, তাঁদের পুজো নিয়ে অনেক নস্টালজিক দিক। বয়স প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই, এখনও যার অভিনয়ের দক্ষতার জোরে পিছু হঠে বহু নায়িকারা। টলিউডের কিংবদন্তি নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের পুজোর দিনগুলি কেমনভাবে কাটে, তা জানতে আমরা তাঁর সঙ্গে আজ যোগাযোগ করেছিলাম ফোনের মাধ্যমে। পুজোর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেই নস্টালজিক হয়ে পড়লেন তিনি জানালেন আমাদের বহু কথা….

১. পুজোর পরিকল্পনা

না আমার তেমন পুজোর পরিকল্পনা নেই। আমি পুজোতে তেমন বেরোই না। আর এই বয়সে পুজো নিয়ে আমি তেমন পরিকল্পনা নেই। বাড়িতেই থাকি।

২. ছোটবেলার পুজোর কোনো স্মৃতি

না অনেক ছোটবেলায় বাবা-মার সঙ্গে এ দেশে পারি দিয়েছি। ঢাকাতে থেকে যখন এদেশে পারি দিয়েছি টুকটাক আনন্দ করেছি।

৩. বিলুপ্ত প্রায় বনেদি বাড়ির পুজো বাঙালির ঐতিহ্য, সেগুলি বর্তমানে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, আধুনিকতার ছোঁয়ায়, এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বা টিকিয়ে রাখতে আমাদের কী করা উচিত

এখন সমাজের যে নতুন নতুন ভাবনা চিন্তা বেড়েছে, তার দাপটে পুজোর আনন্দটাই এখন হারাতে বসেছি। পুজো যে হচ্ছে সেটাই ভুলে যাচ্ছি। সমাজের নতুনত্বের মধ্যে আগেকার দিনে পুজোর যে আমেজটা সেটাও আর নেই। মানুষ এতটাই আধুনিক হয়ে উঠছে, যে তাঁদের ধ্যান ধারনার মধ্যে আর পুরোনো ভাবধারা খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছেনা। সমাজটা একেবারেই বদলে গেছে। নেই সেখানে পুরোনো সেই পুজোর আনন্দ। সেটাই আক্ষেপ এখন কালজয়ী অভিনেত্রীর।

৪. এই বছর কলকাতার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক তকমা পেল, হেরিটেজ উপাধি পেল, এই নিয়ে আপনি কলকাতার বাসী হয়ে কতটা গর্বিত

এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আগেকার দিনে কলকাতার সেরা পুজোগুলি দেখার মত ছিল, তা এখানকার দিনের পুজোগুলি কোনোভাবেই টেক্কা দিতে পারবে না। অনেক পুজো আমি দেখেছি, বিসর্জন দেখেছি, ফিতেও কেটেছি। তখনকার দিনের পুজোতে একটা আমেজ ছিল। বর্তমানে সেটা হারিয়ে গিয়েছে অনেক দূর। সেখানে গিয়েও যখন মাকে দর্শন করেছি আলাদাই একটা অনুভূতি পেয়েছি। এখনকার দিনে আর সেই অনুভূতি নেই। পুজোর আর পুরোনো জৌলুস খুঁজে পাইনা

৫. পুজোর সময়ে তবে বাড়ি থেকে একটুও বেরোনো হয় না

হ্যাঁ, শ্যুটিং থাকলে বেরোই

৬. মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে কোনও পুজো সংক্রান্ত স্মৃতি

না না, তাঁর সঙ্গে স্মৃতি কি আর এক মিনিট বলা যায়।

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, অভিনেত্রী পুরোনো দিনের ধাঁচেই কলকাতাকে দেখতে চান। উত্তম কুমারের সঙ্গে অজস্র স্মৃতি তাঁর কাছে এখনও বর্তমান। যা নিয়ে কথা বলাতে গেলে হয়তো সারাটা দিন কেটে যাবে….

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

জানেন কী, ভূত চতুর্দশী কেন পালিত হয়, ১৪ শাকই বা কেন খাওয়া হয়?

কালীপুজোর রাতে প্রদীপের শিখাতে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা

কালীপুজোর দিন রাতে আগুন এড়াতে এই ধরণের পোশাক পরুন..

লোহা এবং ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা, জনজোয়ারে ভাসবে ব্যারাকপুর

কোজাগরী পুজো শেষে সবার অলক্ষ্যেই বিসর্জিত হবেন রাজবাড়ির দুর্গা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর