নিজস্ব প্রতিনিধি: রাঢ় বাংলার শিল্পী কলকাতার বুকে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাটিয়ে দিলেন থিম শিল্পী হিসাবে। মাটি হোক কী শোলা, কাঠ হোক কী পটচিত্র, বার বার তিনি পুজোপ্রেমী ও শিল্পবোধ সম্পন্ন মানুষকে তাক লাগিয়েছেন তাঁর সৃষ্টিকর্মে। তাঁর হাত ধরে যেমন কলকাতার বুকে একাধিক ক্লাব যেমন বহু পুরস্কার জিতে নিয়েছে ঠিক তেমনি তিনি নিজেও পেয়েছেন একাধিকবার সেরা প্রতিমা শিল্পীর পুরস্কার। কোভিড কালেও গতবছর তাঁর পুজো ছিল শহরের সেরা ১২টি পুজো তালিকায়। এবারেও আছেন তিনি পুজোর ময়দানে। তাঁর হাত ধরেই এবার শহর পাচ্ছে কোভিড থিমের পুজো, উইঢিপির পুজো। তিনি পূর্ণেন্দু দে।
কলকাতার বুকে যে সব বর্ষীয়ান শিল্পী এখনও কাজ করে চলেছেন তাঁদের অন্যতম হলেন পূর্ণেন্দু দে। গতবছর কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন বালকবৃন্দে তাঁর করা কাজ এই পুজো কমিটিকে শহরের সেরা ১২টি পুজোর তালিকায় তুলে এনেছিল। মানুষ অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখেছিল গাছ, কাঠ আর দেবীর একআত্মার মেলবন্ধন। এবারেও পূর্ণেন্দুবাবু কাজ করছেন বালকবৃন্দে। সেখানে এবার তিনি দিচ্ছেন কোভিডকালের একটুকরো সমাজের ছবি যা আমাদের দেখিয়ে দেবে এই সংকটকালে মানুষের আতঙ্ক, তাঁদের মানসিক পরিবর্তন, ব্যবহার ও প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা। থিমের নাম ‘নিমিত্ত’। এছাড়াও পূর্ণেন্দুবাবু এবার পুজো করছেন হরিদেবপুর নিউ স্পোর্টিং ক্লাবে। থিম শিল্পী হিসাবে তিনি সেখানে দিচ্ছেন বল্মিক বা উইঢিপির মণ্ডপ। আমাদেরই দেশে কোনও কোনও প্রান্তে উইঢিপিকে পুজো করা হয় দেবতাজ্ঞানে। সেই ঘটনাই শিল্পী এবার তুলে ধরেছন সেখানে। থিমের নামও সেখানে ‘বল্মিক’।