নিজস্ব প্রতিনিধি: সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভায় ভোটগ্রহণ। আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও বিধাননগরে পুর এলাকায় করোনা বিধি মেনেই হবে ভোট। আর সেই ভোটে জিতে আগামী পাঁচবছর কী কী কাজ করবে রাজ্যের শাসকদল সেই বিষয়ের একটি রূপরেখা তৈরি করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দুই পুরসভায় প্রতিশ্রুতিতে প্রথমেই রাখা হয়েছে ‘পাড়ায় সমাধান’। ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প বেশ সফল হয়েছে। যাকে দুই পুর এলাকা বিধাননগর ও চন্দননগরে নিয়মিত চালু করতে চাইছে তৃণমূল, বলা হয়েছে প্রতিশ্রুতিতে। দুই পুরসভাতেই চালু করা হবে ‘পাড়ায় সমাধান’ নামে বিশেষ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে রাস্তা থেকে জলনিকাশি যে কোনও সমস্যার ছবি ও তথ্য জিওট্যাগ সহ আপলোড করা যাবে। তৃণমূলের ইস্তাহারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।লোকসভা কিংবা একুশের বিধানসভার নিরিখে দুই পুরসভায় ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে শুধুমাত্র নাগরিক পরিষেবাতে জোর দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
চন্দননগর পুরসভার ক্ষেত্রে তৃণমূলের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি, জল সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, প্রশাসনিক জটিলতার সরলীকরণ-সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতিতে শুক্রবার প্রকাশ পেয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহার। অপরদিকে বিধাননগরের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থায়। এদিন ইস্তেহার প্রকাশে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, নিকাশি সমস্যা রয়ে গিয়েছে বিধাননগরে যার উপর আগামী দিনে কাজ হবে। বিধাননগরের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ইস্তেহারে জানানো হয়েছে, বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে শিল্পজেলা প্রকল্প কর্মসূচি রূপায়ণ করা হবে। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে পুর এলাকার রাস্তাগুলিকে সাজিয়ে তোলা হবে। বিধাননগরে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ পুর প্রার্থীরা।