নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি পুরসভা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলায়। তারপরেই রয়েছে হুগলি(Hooghly) জেলা। এইসব পুরসভার মধ্যে ৩৬টি পুরসভায় বড় রকমের গন্ডগোল হতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর জন্য ওই ৩৬টি শহরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে রাজ্য পুলিশকে অনুরোধ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(State Election Commission)। এই ৩৬টি শহরের মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায়। ওই ৩৬টি পুরসভায় পুলিশ ছাড়াও র্যাফRAF), কম্যান্ডো, ইএফআর(EFR), এসটিএফও রাখা থাকবে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কোন কোন পুরসভায় হতে পারে অশান্তি? উত্তবঙ্গের যে সব পুরসভায় বড় রকমের অশান্তির সম্ভাবনা থাকছে তার মধ্যে সবার আগে থাকবে কোচবিহার জেলার ৩টি পুরসভা। তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা(Mathavanga) ও কোচবিহার টাউন। অশান্তি হতে পারে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি(Dhupguri) পুরসভাতেও। অশান্তির আশঙ্কা থাকছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট(Balurghat) ও মালদা জেলার পুরাতন মালদা পুরসভা এলাকায়। এর পরেই রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২৭টি পুরসভা। এর মধ্যে থাকছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া(Bhatpara), ব্যারাকপুর, হালিশহর, খড়দহ, বনগাঁ, গোবরডাঙা, উত্তর দমদম(North Dumdum) ও নোয়াপাড়া পুরসভা। বড় ঝামেলা হতে পারে হুগলি জেলার রিষড়া, চাঁপদানি, চুঁচুড়া(Chinsurah), আরামবাগ ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায়।
ঝামেলা হতে পারে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া, কালনা, মেমারি(Memari) ও বর্ধমান টাউনে। হাঙ্গামার আশঙ্কা থাকছে রানাঘাট, চাকদহ, শান্তিপুর, বীরনগর, তাহেরপুর ও হরিণঘাটা পুরসভা এলাকায়। অশান্তির আশঙ্কা থাকছে বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায়, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি(Contai) পুরসভা এলাকায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পুরসভা এলাকায় এবং বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পুরসভায়। তবে হাওড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার পুরসভাগুলিতে শান্তিতে ভোট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বস্তুত এবারের নির্বাচনে শাসক দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকছে কার্যত সিংহভাগ পুরসভা এলাকাতেই। তবে কিছু জায়গায় তাঁদের বেগ দিতে পারে নির্দল কাঁটা ও বাম-বিজেপি জোট। রাজনৈতিক ভাবে এরা প্রকাশ্যে হাতে হাত না মেলালেও তলে তলে আবারও যাতে বাম ভোট রামের ঝুলিতে যায় সেই ব্যবস্থা যেমন রাখা হয়েছে তেমনি রাম ঝুলি থেকে বামের বাক্সে যাতে ভোট ফেরত আসে সেই রাস্তাও খুলে রাখা হয়েছে। কার্যত আগামিকাল ভোট শুরু হলেই বোঝা যাবে শাসক দলকে ঠিক কতখানি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে রাম-বাম জোট।