এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শতাধিক পুরসভার ভোটে ‘জয়’ খুঁজছে বঙ্গ বিজেপি

কৌশিক দে সরকার: সে যে একবারই এসেছিল ঢাক ঢোল পিটিয়ে, বঙ্গ বিজেপির(BJP) দুয়ারে। কিন্তু তারপর থেকেই আর ‘দেখা নাই রে ভাই, তাহার দেখা নাই’। নাম তার ‘জয়’। নাহ কোন মানুষ নয়, এই জয় হল নির্বাচনী যুদ্ধের জয়। সে একবারই এসে কড়া নেড়েছিল বঙ্গ বিজেপির দুয়ারে। ২০১৯ সালে। সেই বছরই লোকসভা নির্বাচনে(Lokshabha Election) বাংলার মাটি থেকে গেরুয়া ব্রিগেড জিতে নিয়েছিল ১৮টি আসন। সেই শেষ, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে আর জয়ের মুখ দেখেনি বিজেপি। পদ্ম শিবির এখন তাই জয়ের সন্ধান শুরু করেছে, নিছক মুখ রক্ষা করার জন্য নয়, নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্যও। কেননা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে(Assembly Election) গোহারান হারের পর থেকেই বাংলায় যত নির্বাচন হচ্ছে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা শুধু হারছে তাই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা দ্বিতীয় স্থানও পাচ্ছে না। সেই জায়গায় উঠে আসছে রাজ্য বিধানসভা থেকে মুছে যাওয়া বামশক্তি। বিজেপির স্থান হচ্ছে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে। তাই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের যে শতাধিক পুরসভায়(Municipality) ভোট রয়েছে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বিজেপি। যদি কোথাও শিকে ছেঁড়ে।

উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি ১৮টি কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেছিল। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ১০১টি পুরসভায় তৃণমূলকে মাত দিয়ে ভোট প্রাপ্তির বিচারে এগিয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের ৬টি পুরনিগমের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবারেও বিজেপির খুব কম করেও ৬০-৭০টি পুরসভায় জেতা উচিত। কিন্তু এই বিশাল সংখ্যক কেন, এর দশ ভাগের একভাগ অর্থাৎ ৬-৭টি পুরসভাতেও এখন ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন কোনও বিজেপি নেতা, কর্মী বা সমর্থক সম্ভবত দেখেন না।। যে ১০১ পুরসভা ও ৬টি পুরনিগমে বিজেপি উনিশের ভোটে এগিয়ে ছিল তার অনেকগুলিতেই কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও লিড ধরে রেখেছিল বিজেপি। তার মধ্যে যেমন দিনহাটা(Dinhata), তুফানগঞ্জ, কোচবিহার, মাথাভাঙা, আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar), ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, ইংরেজবাজারের মতো উত্তরবঙ্গের(North Bengal) পুরসভাগুলি রয়েছে তেমনি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) পুরুলিয়া, আসানসোল, ঝালদা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর(Bishnupur), ভাটপাড়া, শান্তিপুর, রানাঘাট(Ranaghat), বনগাঁ, চাকদহ, কল্যাণী, আরামবাগ, খড়গপুরের মতো শহরগুলিও।

এই হিসাবে এই সব পুরসভায় এবার বিজেপির বোর্ড গঠন করাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে শিলিগুড়ি। কেননা কিবা উনিশ, কিবা একুশ, দুই ভোটেই শিলিগুড়ি পুরনিগম(Siliguri Municipal Corporation) এলাকায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। অথচ ১২ ফেব্রুয়ারি যখন এই পুরনিগমে ভোট হল তখন দেখা গেল শিলিগুড়িতে খাতা খুলে মাত্র ৫ আসনে জয়ের মুখ দেখিয়েই দৌড় থেমে গিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের। অর্থাৎ লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ওই পুরনিগমে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে গিয়েও পুরনির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল। এমনকি তাঁদের মেয়র পদপ্রার্থী তথা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও(Shankar Ghosh) পরাস্ত হলেন সেখানে। শুধু পরাস্ত হওয়াই নয়, নিজের ওয়ার্ডে বাম প্রার্থীর থেকেও পিছিয়ে তৃতীয় হলেন তিনি। কার্যত শিলিগুড়ির ফলই বলে দিচ্ছে মানুষ গেরুয়া শিবির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই ঘটনাই যদি বাকি সব পুরসভায় হয় তাহলে ফলটাও সহজেই অনুমেয়।

কিন্তু তারপরও কিছু পুরসভার ফলাফলের দিকে এবার সবাই তাকিয়ে থাকবেন। এর মধ্যে যেমন থাকবে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের শহর বালুরঘাট, প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের এলাকা খড়গপুর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহর কাঁথি(Contai), অর্জুন সিংয়ের শহর ভাটপাড়া, সৌমিত্র খানের এলাকা বিষ্ণুপুর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জেলা কোচবিহারের তুফানগঞ্জ(Tufanganj), কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার খাস তালুক আলিপুরদুয়ার, সাংসদ রাজু বিস্তার শহর দার্জিলিং, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বনগাঁ(Bongna), সাংসদ জগনাথ সরকারের রানাঘাটের মতো শহরগুলি। কেননা এই সব শহরে কিছুটা হলেও বিজেপি এখনও ভাল অবস্থায় আছে। এর বাইরে নজর থাকবে গঙ্গারামপুর(Gangarampur), ইংরেজবাজার, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, পুরুলিয়া(Purulia), বাঁকুড়ার মতো বড় শহরগুলির পাশাপাশি খড়ার, রামজীবনপুর(Ramjibanpur), ক্ষীরপাই, পুরাতন মালদা, চাকদহ, গয়েশপুরের(Gayeshpur) মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলির দিকেও। কেননা এই পুরসভায় শাসক বিরোধী মনোভাব এখনও রয়ে গিয়েছে। নজর থাকবে প্রথমবারের জন্য নির্বাচন হতে চলা ফালাকাটা ও ময়নাগুড়ি পুরসভার দিকেও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বসিরহাট আদালতে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশার’ চোখে জল

নির্বাচনের আগে ভাটপাড়ায় বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার

ফরাক্কার এক স্কুলেই চাকরি গিয়েছে ৩৬ শিক্ষকের, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

গৌরাঙ্গনগরে ১০ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে, উদ্ধার করল পুলিশ

বিজেপিকে সমর্থনের শাস্তি, বিনয় তামাংকে দল থেকে তাড়াল কংগ্রেস

‘প্রথম দফায় মাথা ভেঙেছি, একেবারে শেষে বলো হরি, হরি বোল’, বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর