এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জঙ্গলমহলেও ধাক্কা পদ্মের! প্রশ্নের মুখে দিলীপ-সৌমিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলের(Junglemahal) ৫টি লোকসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই উড়েছিল গেরুয়া পদ্মপতাকা। ওই ৫টি লোকসভা কেন্দ্র যে জেলাগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে সেই ৪টি জেলার মধ্যে পুরুলিয়া(Purulia) ও বাঁকুড়া(Bankura) জেলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচণেও ভাল ফল করেছিল বিজেপি(BJP)। তৃণমূলের(TMC) ভাল ফল হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) ও ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের যে ১০৮টি পুরসভায় ভোট হয়েছে তার মধ্যে ১৪টি পুরসভা রয়েছে ওই ৪টি জেলায়। এখন সেই ১৪টি পুরসভার নির্বাচনী ফলাফল যখন সামনে আসছে তখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি কোথাও তো ক্ষমতা দখলের ধারে কাছেও তো যেতেই পারেনি, বেশ কিছু পুরসভাতে খাতাও খুলতে পারেনি। অথচ ভোটের দিন সেখানে কোনও ঝামেলার খবর পাওয়া যায়নি। তাই পদ্মশিবিরের নেতারা এখন বড় গলায় বলতে পারছেন না তাঁরা সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মুখ আরও পুড়িয়েছে নির্দল প্রার্থী থেকে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরাও। কেননা দেখা যাচ্ছে বিজেপি ওই ১৪টি পুরসভার মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খাতা খুলতে না পারলেও সেখানে জয়ী হয়েছে বাম, নির্দল বা কংগ্রেস প্রার্থীরা। তাই বিজেপির অন্দরেই এখন প্রশ্ন উঠেছে মানুষ কেন মুখ ফেরাচ্ছে পদ্মের দিক থেকে!

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে ১৪টি পুরসভায় ভোট হয়েছিল তার মধ্যে মাত্র ১টি পুরসভা ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। বাকি সবই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। পুরুলিয়া জেলার ৩টি পুরসভার মধ্যে পুরুলিয়া টাউন ও রঘুনাথপুর পুরসভা গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। পুরুলিয়া টাউনের ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। নির্দলরা জিতেছে ২টি ওয়ার্ডে, কংগ্রেস জিতেছে ১টি ওয়ার্ডে। বিজেপি শূন্য। রঘুনাথপুর পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস ও বিজেপি সেখানে ২টি করে আসনে জয়ী হয়েছে। ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৬টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৫টি আসন, নির্দল পেয়েছে ১টি আসন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৩টি পুরসভার মোট ৪৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের প্রাপ্তি ৩২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন, নির্দলরা পেয়েছে ৩টি ওয়ার্ড। সেখানে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র ২টি আসন। আর এখানেই প্রশ্ন, যে পুরুলিয়া ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে দুইহাত ঢেলে ভোট দিয়েছে সেই পুরুলিয়া কেন মুখ ফিরিয়ে নিল পদ্মশিবির থেকে।

বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তার মধ্যে ছিলেন সৌমিত্র খানও। একুশের ভোটে বিজেপি হারলেও পরে সৌমিত্র পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্য গড়ে তোলার পক্ষে সুর চড়িয়েছিলেন। বিষ্ণুপুর তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ও নিজ শহরও। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সৌমিত্রের জেলা বাঁকুড়ার ৩টি পুরসভাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। বাঁকুড়া টাউনের ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৩টিতে জয়ী হয়েছে নির্দলরা। বিজেপি শূন্য। সৌমিত্রের নিজের শহর বিষ্ণুপুর। সেখানকার ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। নির্দলরা সেখানে জিতেছে ৩টি আসনে। বিজেপি পেয়েছে ২টি আসন ও কংগ্রেস ১টি আসন। সোনামুখীতে ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল, ৪টিতে নির্দলরা ও ২টিতে বামেরা। বিজেপি এখানেও শূন্য। মানে মল্লভূমের ৩ পুরসভার মোট ৫৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ৪৩টি আসনে। নির্দলরা পেয়েছে ১০টি আসন। বাম ও বিজেপি পেয়েছে ২টি করে আসন এবং কংগ্রেসের প্রাপ্তি মাত্র ১টি আসন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সৌমিত্র করছেনটা কী? আর সেটাও বিজেপির অন্দরে।

দিলীপ ঘোষের শহর খড়গপুর, জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানেও মুখ পুড়েছে বিজেপির। মেদিনীপুর টাউন পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। ৩টি আসন পেয়েছে বামেরা, ১টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও নির্দল। বিজেপি শূন্য। ঘাটাল পুরসভার ১৭টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এখানেও শূন্য। রামজীবনপুর পুরসভার ১১টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি শূন্য। চন্দ্রকোনা টাউনের ১২টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপির ঝুলি এখানেও খালি। ক্ষীরপাই পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১টি ওয়ার্ডে জিতেছে নির্দল। বিজেপি এখানেও শূণ্য। তুলনায় গেরুয়া শিবিরের মুখ রক্ষা হয়েছে খড়ার আর খড়গপুরে। খড়ারের ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টিতেই জিতেছে তৃণমূল, ২টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। খড়গপুরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৬টি করে ওয়ার্ড পেয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। বামেরা পেয়েছে ২টি আসন ও নির্দলের দখলে গিয়েছে ১টি আসন। মানে জেলার ৭টি পুরসভাতে মোট ১২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র ৮টি আসন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে দিলীপ ঘোষ করছেন কী! ঝাড়গ্রামেও খাতা খুলতে ব্যর্থ বিজেপি। সেখানকার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১টি করে আসন পেয়েছে বামেরা ও নির্দলরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তিন তোলাবাজ যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিলেন আমজনতা

জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের তিনদিন ব্যাপী কনভেনশন

নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত যুবক করুণাময়ীর এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মী

মালদার চাঁচলে মিঠুনের রোড শোতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

‘বিজেপির ১০ জন নেতা যোগাযোগ রাখছেন’, বোমা ফাটালেন অভিষেক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর