এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে কমিশন ও রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের চার পুরনিগমে নির্বাচন রয়েছে আগামী ২২ জানুয়ারি। সেই চার পুরনিগম হল বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। কিন্তু বিজেপির পাশাপাশি বামেরাও বার বার দাবি তুলছে এই নির্বাচন স্থগিত করে দিতে। কেননা রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ কার্যত ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে অন্তত ওই চার শহরে কোভিডের সংক্রমণ যে অনেকটাই বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা রাজ্যের নানা মহল থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার অবশ্য নির্দিষ্ট দিনেই নির্বাচন করাতে চাইছে। কমিশনেরও একই ইচ্ছা। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে পুরনির্বাচন স্থগিত করার আর্জি জানিয়ে। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এদিনই। আর সেখানেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে।

মামলার শুনানিতে প্রশ্ন ওঠে নির্বাচন কেন এই কোভিড আবহে স্থগিত করা যাবে না, তা নিয়ে। সেখানে কমিশনের আইনজীবী জানান, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কমিশন নির্বাচন স্থগিত করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই তা নেওয়া সম্ভব। আবার রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য মতামত দিতে পারে মাত্র। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কমিশনই। নির্বাচন পরিচালন সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদেরই সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। আর যেখানে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সেখানে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে রাজ্য সরকার কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে পারে না। দুই তরফে এই দুই ধরনের কথা শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বেশ ক্ষুব্ধ হন। তার পরেই তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভোটের দিন ক্ষণ কে ঠিক করে? কমিশন বলছে, রাজ্য। আর রাজ্য বলছে, কমিশন। কোনটা ঠিক?’ এর উত্তরে কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্য সুপারিশ করে। সেই মতো কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।’ তা শুনে পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তা হলে ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কে নিতে পারে?’ কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্য চাইলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট বন্ধ করতে পারে।’

এই জবাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভোট স্থগিত করতে কমিশন পারে, রাজ্য পারে, না কি দু’জনেই পারে? আপনাদের সমস্যা কোথায়? আগে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুন। আইন তৈরির ২৯ বছর পরেও নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট নয়। একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। এটা কী ভাবে সম্ভব!’ এরপরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এ মামলার রায় দান আপাতত স্থগিত থাকছে। দু’এক দিনের মধ্যেই রায় ঘোষণা করা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

আচমকাই জেগে উঠল গুরু প্রেম, প্রয়াত অজিত পাঁজার বাড়িতে হাজির ‘দলবদলু’ তাপস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর