27ºc, Haze
Saturday, 13th August, 2022 11:08 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাবে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে বামেরা। তাঁদের প্রাপ্তি ১৪ শতাংশ ভোট, যেখানে বিজেপি পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি(BJP) কোনও পুরসভা একক ভাবে দখল করতে না পারলেও বামেরা একক ভাবে তাহেরপুর পুরসভা ধরে রেখেছে। তবে আসন প্রাপ্তির বিচারে বিজেপি কিছুটা হলেও বামেদের থেকে এগিয়ে। গেরুয়া শিবির পেয়েছে ৬৬টি আসন আর বামেরা পেয়েছে ৫৫টি আসন। এই ফলাফল দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বামেরা(Left) ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাচ্ছে। বিজেপিকে পিছনে ফেলে তাঁরাই উঠে আসছে বিরোধী পরিসরে। আগামী দিনে তাঁরাই হয়তো ফের বাংলার প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়ে যাবেন। এই যখন বামেদের ঘিরে বিশ্লেষণ তখন দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) দাবি, বামেরা কোথাও ফিরছেন না। সবটাই নাকি তৃণমূলের(TMC) কারসাজি। বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে(Newtown Ecopark) প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন দাবিই করলেন দিলীপ।
ঠিক কী বলেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি? দিলীপের দাবি,‘পুরনির্বাচনে বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে বামেদের উত্থান আসলে তৃণমূলেরই কারসাজি। এর পিছনেও রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আগে বামেদের দখলে কটা পুরসভা ছিল, আর এখন কটা আছে। এবারের যে ভোট করা হয়েছে সেখানে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। এখন সিপিআইএম এর যা পরিস্থিতি, তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। তৃণমূল চাইছে বাম দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্টকে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিকভাবে জয় বিজেপিরই হয়েছে। পুলিশ দিয়ে জোর করে পুরসভা জিতেছে। ভোট করতে দিচ্ছে না। এই রাজনীতি নিয়ে হয়তো বাংলা দখল করা যাবে. বাংলার উন্নয়ন কখনও করা যাবে না। ভোট যেটা হয়েছে সেটা তো ভোট হয়নি। যারা তৃণমূলের পুরানো লোক, বেশিরভাগ যারা সিন্ডিকেট চালায়, যারা প্রমোটার, যারা টাকা কামিয়েছে, তাদেরকে টিকিট দিয়েছে। যারা পাইনি তারা জোর করে দাঁড়িয়েছে এবং জিতেছে।’
যদিও দিলীপবাবু এদিন এটা বলতে পারেননি যে যেখানে কোনও ঝামেলা ছাড়াই ভোট হয়েছে সেখানেও কেন বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি। তাঁর দাবি, ‘বিজেপি কোথাও ছিল না। গত লোকসভা বিধানসভায় এসেছে। দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০জনকে হত্যা করা হয়েছে, ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গিয়েছেন। ৫০ শতাংশ কর্মী নির্বাচনে বের হননি। স্বাভাবিক ভাবে আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে। সেজন্য বের হননি। পরবর্তী সময়ে পার্টি আবার সক্রিয় হবে।’