এই মুহূর্তে

সবুজঝড়েও লালঝান্ডা তাহেরপুরে! বঙ্গে জমি ফিরে পাচ্ছে বাম

নিজস্ব প্রতিনিধি: এভাবেও ফিরে আসা যায়। দেখাচ্ছে বামেরা। দেখছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং অবশ্যই তৃণমূল যাদের হারিয়ে এবারেও তাহেরপুরের(Taherpur) নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রাখল বামেরা(Left)। কার্যত এদিন বাংলাজুড়ে তৃণমূল সুনামির মাঝেও কিন্তু অক্ষত থাকল তাহেরপুর। সবুজ ঝড়ের মাঝেও এখানে উড়েছে লালঝান্ডা। শুধু তাহেরপুরেই নয়, কার্যত বাংলা জুড়েই হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে বামেরা। যে ভোট রামের ঝুলিতে চলে গিয়েছিল সেই ভোট আবারও ফিরে আসছে বামেদের পক্ষে। রাজ্য বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়েও বামেরা ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে রাজ্যের বিরোধী পরিসরে ফের ফিরে আসছে। যা কিছুটা হলেও রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, হয়তো ভালোও। 

নদিয়া(Nadia) জেলার রানাঘাট(Ranaghat) মহকুমার মধ্যে থাকা এক ছোট্ট পুরসভা হল তাহেরপুর। মূলত পূর্ব বঙ্গীয় মানুষদের কলোনি হিসাবে গড়ে ওঠা এই এলাকা বাম জমানাতেই নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটির তকমা পেয়েছিল। তৃণমূল জমানাতে তা পেয়েছে পূর্ণাঙ্গ পুরসভার ক্ষমতা। কিন্তু রাজ্যে পালাবদল ঘটলেও তাহেরপুরে বার বার জিতে চলেছে বামেরা। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনেও সেখানে জয়ী হয়েছে বামেরা, ২০২২ সালের পুরনির্বাচনেও জয়ী হয়েছে বামেরা। কার্যত সবুজ সুনামির মধ্যে একমাত্র স্থলভাগ যেখানে উড়ছে লালঝান্ডা। সব থেকে বড় কথা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি(BJP)। দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল, তৃতীয় বামেরা। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে ১২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে যায় তৃণমূল। দ্বিতীয় ছিল বিজেপি, তৃতীয় বামেরা। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের অন্দরে ধারনা ছিল এবার বামেদের দখলে থাকা এই পুরসভা তাঁদের পকেটেই আসবে। যদিও তা হয়নি। দেখা যাচ্ছে শহরের ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টিতে জয়ী হয়ে বোর্ড গড়তে চলেছে বামেরা। ৫টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি শূন্য।

যে বামেরা বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছে নিঃসন্দেহে রাজ্যজুড়ে ১২ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি আর তাহেরপুর ধরে রাখার ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বামেদের এখন শুধু যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে তাই নয়, লড়তে হচ্ছে বিজেপির বিরুদ্ধেও। রাজ্যের বিরোধী পরিসরে ফিরে আসতে গেলে বিজেপিকে পিছনে ঠেলে দেওয়া যে একান্তই প্রয়োজন এটা বিলক্ষণ বোঝেন বাম নেতা থেকে কর্মী সমর্থকেরা। সেই দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে কোথাও তাঁরা একাই লড়াই করছেন, আবার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির আশ্রয় নিচ্ছেন। কোথাও কোথাও জয়ের মুখ দেখলেও হারের পাল্লা এখনও ভারী। তবুও তাহেরপুরকে আঁকড়ে ধরে এদিন দিন বদলের গান বাজজে লাল ঝান্ডার শিবিরে।

তাহেরপুরে এবারেও বামেরা ক্ষমতার দখল ধরে রাখতে পারলেও সেখানে পরাজিত হয়েছেন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান। তার জেরে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা রঞ্জন রায় জানিয়েছেন, ‘মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। তাঁদের ধন্যবাদ। এটা তৃণমূল এবং বিজেপির বিভেদকামী রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের সার্বিক জয়। সার্বিক ভাবে বিকল্প নীতির জয় হয়েছে। এটা দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স, নাগরিক পরিষেবায় ১০০ শতাংশ দেওয়ার ফল। আমি হেরেছি তৃণমূলের রিগিংয়ের জন্য, উপপুরপ্রধানও হেরেছেন তৃণমূলের রিগিংযের জন্য। ওটা আমরা ঠেকাতে পারলে ঠিকই জিতে জেতাম।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাহেরপুরে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল ১২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েও কেন এখন ৭টি ওয়ার্ডে হারল! স্থানীয়দের একাংশের অবশ্য দাবি, বিধানসভা ভোটের পরবর্তী পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের ‘ঔদ্ধত্য’ মানুষের কাছ থেকে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করেছে। তার জেরেই এই হার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রথম দুই দফার ভোটে সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর