নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার বিকালেই শেষ হচ্ছে কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের প্রচার। তাই এদিন সকাল থেকেই কলকাতার রাজপথ থেকে অলিগলিতে শেষ মুহুর্তের প্রচার চালিয়েছেন সব দলের প্রার্থীরাই। সেই প্রচার করার কালেই এদিন সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর দাবি, ‘ওনার ওপর ওপর রাজনীতি করা অভ্যাস। প্যারাশুট নিয়ে নেমেছেন। রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। ক্ষমতায় আছেন বলে এখন অনেক বড় বড় কথা বলছেন। যেদিন ক্ষমতায় থাকবেন না সেদিন আর কিছুই থাকবে না। ওনার বুথ সভাপতি হওয়ার যোগ্যতাই নেই।’ সুকান্তের সেই আক্রমণের পাল্টা কোনও আক্রমণে নামেননি অভিষেক। তবে সুকান্তকে জবাব দিয়েছেন আমজনতা, যারা এদিন দলে দলে শহরের রাজপথে নেমে সামিল হয়েছেন অভিষেকের মিছিলে।
শুক্রবার দুপুরে বালিগঞ্জ থেকে বার হয় অভিষেকের মিছিল। প্রচারের একদম শেষ লগ্নে অভিষেকের এই মিছিলে এদিন দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা সামিল হওয়ার পাশাপাশি অংশ নেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিষ কুমার, সাংসদ মালা রায়, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিরাও। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা থেকে শুরু হওয়া সেই বর্ণাঢ্য মিছিল দেখতে রাস্তার দুইপাশেই কার্যত জনতার ভিড় ভেঙে পড়ে। মিছিল যতই এগিয়েছে ততই আরেভারে বেড়েছে সেই মিছিলের চেহারা। রাস্তায় জনজোয়ারের পাশাপাশি রাস্তার দুই ধারে থাকা বাড়িগুলির বারান্দা, ছাদ, জানলাতেও ভিড় জমিয়েছিল আট থেকে আশির মানুষেরা। আর এই ভিড়ই বলে দিচ্ছে শাসকের দুর্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অভিষেকের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ। হাজরা রোড ধরে শুরু হওয়া এদিনের মিছিল বেলতলা মোড় হয়ে চক্রবেড়িয়া ছুঁয়ে হরিশ চ্যাটার্জী রোড হয়ে কালিঘাটে শেষ হয়।
তবে এই মিছিলের ভিড় দেখে যে বিজেপির রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে সেটা বেশ বোঝা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে। তাঁর দাবি, ‘বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর চেষ্টা চলছে। বাঁকুড়ার থেকে লোক আনা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে বাইরের জেলা থেকে লোক আনা হয়েছে। ভোটেও তো লোকগুলোকে এখানেই রেখে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনকে জানাব। কিন্তু, তাতে লাভ কই! নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ!’ তবে সুকান্তের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তাঁদের সাফ জবাব, বিজেপি গোহারা হারবে এটা বুঝতে পেরেই এখন হারের কারণ খুঁজতে ভুলভাল বকছে। কলকাতার বুকে বিরোধীরা ভূমিশয্যা নিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর তৃণমূল জয়ের ক্ষীর খাবে, আর বিরোধীরা শুধুই লবোডঙ্কা পাবে।