নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ছিল নির্বাচন। ওইদিন প্রায় ১০ হাজার বুথে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। সেই নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীরা হাজারো অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে, এমনকি বিজেপির(BJP) তরফে কাঁথি(Contai) পুরসভার নির্বাচন বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা ঠোকাও হয়েছে। কিন্তু এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনও বুথ থেকেই কোনও বড় রকমের কোনও অনিয়মের রিপোর্ট আসেনি। তাই কোনও পুরসভার কোনও বুথেই আর পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। তবে দুটি বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেখানে মঙ্গলবার ফের ভোটগ্রহণ করা হবে। সন্দেহ নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা দিতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে।
এদিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)। সূত্রে জানা গিয়েছে সেই বৈঠকেই রাজ্যপাল কমিশনারকে বলেন যে সব পুরসভায় সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে সেখানে পুনর্নির্বাচন(Reelection) হোক। যদিও কমিশনার তাঁকে জানেন, কমিশন এইভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। জেলাশাসকেরা যে রিপোর্ট পাঠাবেন সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই কমিশন কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত জেলাশাসকদের তরফে তেমন কোনও রিপোর্ট আসেনি কমিশনের কাছে। তাই পুনর্নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ফের ভোটগ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্ট কাঁথি পুরসভা নিয়ে বিজেপির দায়ের করা মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহন করেছেন। যদিও সেই মামলার শুনানি কবে হবে তা জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরে আদালত আর নতুন করে ভোটগ্রহণের নির্দেশ নাও দিতে পারে। কেননা নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা আদালত সরাসরি সেই সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাইবে না, এমনটি অভিমত রাজ্যের আইনজীবীদের একাংশ।