নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের নাগরিক, খ্যাতনামা শিল্পী, সিদ্ধার্থ রায় ওরফে সিধু (গায়ক, অভিনেতা, চিকিৎসক ও রাজনৈতিক-সামাজিক ভাবে সচেতন), কী প্রত্যাশা থাকবে নতুন পুরবোর্ডের কাছে। শিয়রে কলকাতা পুরসভার ভোট। আগামী ১৯ ডিসেম্বর তিলোত্তমাবাসীর ভোটের নিরিখেই গঠিত হবে নতুন পুরবোর্ড। এতদিন ধরে শহরাবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করেছে প্রাক্তন পুরবোর্ড ও এলাকার কাউন্সিলর। ভোটে জিতলে কাউন্সিলারের কাছ থেকে কী কী কাজের প্রত্যাশা রয়েছে সিধুর। কোন কাজেই বা খামতি রয়েছে তার এলাকায় এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অর্ঘ্য নস্করকে সেই বিষয়ে জানালেন ক্যাকটাসের সিধু।
সিধু: আমার পাড়ার নাম প্রান্তিক। কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ড, লোকেশন গড়িয়া ৫ নং বাসস্ট্যান্ড। পুরসভার কাজে খুশি।
পুরসভার ও কাউন্সিলরের কোন কোন কাজ ভালো লেগেছে…
১. আমি আমার পুরসভার কাউন্সিলরকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই, কারণ আমার এলাকায় একটা ফাঁকা জমি পড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে। তার কোনও মালিকানা নেই, লোকজন আবর্জনা ফেলত, নোংরা ফেলত। একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিল। তখন আমরাই উদ্যোগ নিয়ে জমিটার মালিকানা খোঁজার চেষ্টা করি। সার্চিং করে দেখা গেল এই জমির মালিক কেউ নয়। তখন আমরা কাউন্সিলরকে অনুরোধ জানাই, এই জমিটা আমরা ব্যবহার করব। তার জন্য পরিষ্কার করছি ও জঞ্জাল সরাচ্ছি। কাউন্সিলারের কাছে এই বিষয়ে যোগাযোগ করলেই তিনি এককথায় রাজি হয়ে যান। আমাদের ব্যবহারের জন্য সমস্ত আইনি দিক দেখে নেন তিনি। ওই জমিটাকে আমরা প্রাঙ্গন হিসেবে ব্যবহার করছি। সেখানে বিগত পাঁচবছর ধরে দুর্গাপুজো হচ্ছে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। রবীন্দ্র জয়ন্তী হয়, স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। এটা আমার পরম প্রাপ্তি।
২. এলাকায় রথতলা মার্কেট করেছেন কাউন্সিলর। আগে রাস্তার সঙ্গেই মিশে যেত মার্কেট। সেখানেই বাজার করত সবাই। এদিকে রাস্তা খুবই সরু। সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে রথতলা মার্কেট করেছেন কাউন্সিলর। যেটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।
৩. নিকাশি ব্যবস্থা ভালো কাজ হয়েছে। আমার পাড়ায় ভালোই কাজ হয়েছে। অন্তত বৃষ্টি হলে আমার পাড়ায় জল জমে না।
আর কী কী চান…….
১. তবে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু কাজ বাকি রয়েছে নিকাশিতে। বিশেষ করে গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনের কাছে নিকাশিতে কাজ বাকি রয়েছে। কারণ ওই এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এটা দেখলে ভালো হত। আমার পাশের পাড়ায় কিছু কিছু জায়গায় এখনও জল জমছে সেটা নিরাময় করলে ভালো হয়।
২. আদিগঙ্গাতে উন্নয়ন দরকার। কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। তবে এখন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার হাত থেকে বাঁচতে আদিগঙ্গার সংস্কার দরকার। আবর্জনা, ময়লা ফেলা বন্ধ করাতে পারলে ভালো হত।
৩. আমফান ও যশের সময় গাছ পড়েছিল এলাকায় সেক্ষেত্রে একটু দেরি হয়েছে গাছ কাটতে। বিদ্যুৎ সংযোগে দেরী হয়েছে। প্রতিবছরই এই ঘূর্ণিঝড় আসবে। তাই আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমস্যা গুলি দ্রুত সমাধান করা যায় সেটা দেখার আর্জি জানাই। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ভালো কাজের আশা রাখি।