এই মুহূর্তে

ওয়াকআউট করুক নির্দলরা! ত্রিশঙ্কু পুরসভায় রণনীতি তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ১০২টি পুরসভায় তৃণমূল(TMC) নিরঙ্কুশ জয়ের মুখ দেখেছে। কিন্তু ৪টি পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড গঠন নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা সেখানে ত্রিশঙ্কু ফলাফল হয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে ওই ৪ পুরসভায় নির্দলদের সমর্থন না নিলে বোর্ড গঠন করতে পারবে না জোড়াফুল। অথচ এখনও তৃণমূলের ঘোষিত অবস্থান দলের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ভোটে নির্দল(Independent) প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কোনও ভাবেই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা(Egra), হুগলি জেলার চাঁপদানি(Chnapdani), মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা(Beldanga) ও পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভায় বোর্ড গঠন নিয়ে নিজের রণনীতি কিছুটা হলেও পরিবর্তন করতে চাইছে তৃণমূল। সেখানে নির্দলদের বার্তা দেওয়া হতে পারে বোর্ড গঠনের দিন ওয়াকআউট করতে। যদি নির্দলরা তাতে রাজী হন, তাহলে ৪ পুরসভাতেই বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

ত্রিশঙ্কু এই চার পুরসভায় ঠিক কীরকম অবস্থা? প্রথমেই আসা যাক এগরা পুরসভায়। এখানে ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ৫টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস জিতেছে ১টি ওয়ার্ডে ও নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে ১টি ওয়ার্ডে। বোর্ড গঠন করতে প্রয়োজন ৮জন কাউন্সিলরের সমর্থন। যা পরিস্থিতি নির্দল প্রার্থীর সমর্থন ছাড়া তৃণমূল বোর্ড গড়তে বাধা পাবে। নজর রাখব ঝালদার দিকে। সেখানে ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি আসনগুলির মধ্যে কংগ্রেস ৫টি ও নির্দল ১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। বোর্ড গড়তে এখানে প্রয়োজন ৭জন কাউন্সিলরের সমর্থন। বেলডাঙা পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৩টি আসনে জিতেছে বিজেপি ও ৪টিতে নির্দল প্রার্থীরা। এখানে বোর্ড গড়তে ৮জন কাউন্সিলরের সমর্থনের প্রয়োজন। সব শেষে আসা যাক চাঁপদানি পুরসভায়। এখানে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১০টি ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দলরা। ১টি ওয়ার্ড গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। এখানে বোর্ড গড়তে প্রয়োজন ১২জন কাউন্সিলরের সমর্থন।

এই ৪টি পুরসভার ক্ষেত্রেই তৃণমূলের তরফে নির্দলদের বার্তা দেওয়া হতে পারে বোর্ড গঠনের দিন ওয়াকআউট করতে। কেননা পুরআইন অনুযায়ী বোর্ড গঠনের বৈঠকে সবাই অংশ নিতে পারলেও ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। ভোটাভুটিতে যারা অংশ নেবেন কেবল তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনেও বোর্ড গড়া যেতে পারে। মানে ধরা যাক এগরার কথা। সেখানে বোর্ড গঠন করতে প্রয়োজন ৮জন কাউন্সিলরের সমর্থন। কিন্তু ভোটাভুটির সময় যদি ১জন সদস্যও অংশ না নেন তাহলে কিন্তু ভোটাভুটি হবে বাকি ১৩জন কাউন্সিলরের মধ্যে। সেখানে তৃণমূলের ৭জন কাউন্সিলর এককাট্টা হলেই বিরোধী বাক্সে সর্বাধিক ৬টি ভোট পড়বে বোর্ড গঠনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। যেহেতু প্রস্তাবের সমর্থনে বেশি ভোট পড়েছে তাই সেখানে বোর্ড গঠনের রাস্তা খুলে যাবে। অর্থাৎ নির্দল জয়ী প্রার্থীকে সরাসরি দলে ফিরিয়ে না নিলেও এই কৌশলে ৪টি ত্রিশঙ্কু পুরসভাতেই বোর্ড গড়তে পারবে তৃণমূল। তবে প্রশ্ন এখানেই যে নির্দল প্রার্থীরা রাজী না হলে তখন কী হবে আর যদি রাজীও হন, পরবর্তীকালে যদি তিনি বিমুখ হইয়ে যান তখন বোর্ডের ভবিষ্যৎ কী হবে! যদিও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ পুরসভাতেই নির্দলরা দলে ফিরতে চান। কিন্তু দেলের শীর্ষনেতৃত্বের অনুমতি না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দলের তরফে তাঁদের কাছে ওয়াকআউটের বার্তা গেলে তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক কেরিয়ারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হয়তো অমান্য করবেন না। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদায় কংগ্রেস এবং বেলডাঙা ও এগরাতে বিজেপি বোর্ড গঠনের জন্য নির্দলদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কাঁচড়াপাড়ার মুকুলের বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে গেলেন অর্জুন সিং

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

‘একসঙ্গে জ্বালাবে’ লিখে আত্মঘাতী দম্পতি

বিজেপিকে বিপাকে ফেলে জঙ্গলমহলের একাধিক আসনে প্রার্থী কুড়মিদের

শ্যামনগরে পুকুর ভরাট রুখতে ছুটে গেলেন বিএলআরও

ভোটের ডিউটি থেকে ছাড়, খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর