নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে শুক্র বিকালেই। রবি সকালেই বুথমুখী হবেন কলকাতার বাসিন্দারা। মাঝের এই একটা দিন শুধুই বিশ্রামের পালা। আর এই ফাঁকেই জোড়াফুল শিবিরে উঁকি মারলেই দেখা যাচ্ছে পুরভোটে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সমীক্ষা বলছে কলকাতার ছোট লালবাড়ি একদম বিরোধী শূণ্য হবে না। তাঁদের শক্তি কমলেও থাকবে তাঁদের উপস্থিতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল অন্তত ১৩৫টি আসন পাবে। তবে দলের নীচুতলার কর্মী থেকে নেতাদের দাবি সেই সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ হয়ে যাতে পারে। মানে সেক্ষেত্রে মাত্র ৬টি আসন পেতে পারে বিরোধীরা। আর এই সংখ্যাতত্ত্বই তৃণমূলের সব প্রার্থীদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। চাঙ্গা রয়েছেন দলের নেতাকর্মীরাও।
২০১৫ সালের কলকাতার পুরনির্বাচনে বিরোধীরা পরাস্ত হলেও একদম দুরমুশ কিন্তু হয়ে যায়নি। সেই নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ১১৪টি আসনে। ১৫টি আসন পেয়েছিল বামেরা। তাঁরাই ছিলেন পুরসভার বিরোধী পক্ষ। এর বাইরে বিজেপি পেয়েছিল ৭টি আসন, কংগ্রেস ৫টি ও নির্দল পেয়েছিল ৩টি আসন। যদিও পরবর্তীকালে বেশ কিছু বিরোধী ও নির্দল কাউন্সিলর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবুও ২০১৫ সালের সেই নির্বাচনে বিরোধীরা সর্বমোট ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বিধানসভা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছেন বামেরা। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছেন সেই একই ছবি এবারে পুরসভার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে। তুলনায় বিজেপির আসন সংখ্যা হয়তো বাড়তে পারে। কংগ্রেস কোনও আসন পাবে কিনা সেটাও কিন্তু প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে। তবে নানা সমীক্ষাই বলছে এবারে বামেদের পিছনে ফেলে কলকাতা পুরনিগমের বিরোধী পরিসরে উঠে আসতে পারে বিজেপি। আর দ্বিতীয় স্থান কার দখলে থাকবে তা নিয়েই যখন বিরোধীরা ব্যস্ত তখন তৃণমূল শিবিরে কার্যত আগাম জয়ের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে আগামিকাল মাথে নামতে চলেছে তাঁরা।