নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে আরও এক সবুজ ঝড় আছড়ে পড়ল বাংলার বুকে। আরও একবার বাংলার মানুষ আস্থা রাখল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ওপরে, অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে। মানুষ আস্থা রেখেছে তৃণমূলের ওপরে। আস্থা রেখেছে স্বাস্থ্যসাথী(Sasthasathi), লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রীর(Kanyasree) ওপরে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার কাজ। আর সেই কাজ শুরুর ১ ঘন্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বাংলার মানুষ আরও একবার পূর্ণ আস্থা রাখল তৃণমূলের(TMC) ওপরে। একই সঙ্গে বাংলার মানুষ চূড়ান্ত ভাবে প্রত্যাখান করেছেন বিজেপিকে। তুলনায় লড়াই দিচ্ছে বামেরা। বেশ কিছু পুরসভায় তাঁরা রীতিমত চমক দিচ্ছে। প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ২৫টিতে জিতে গিয়েছে তৃণমূল।
এবারের পুরনির্বাচনে বেশ কিছু পুরসভার দিকে বাড়তি নজর ছিল। যার মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথি(Contai), অর্জুন সিংয়ের ভাটপাড়া, সুকান্ত মজুমদারের বালুরঘাট(Balurghat), দিলীপ ঘোষের খড়গপুরের দিকে বেশি করে নজর ছিল। কিন্তু গণনার ট্রেন্ড বলছে প্রতিটি পুরসভাতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি কার্যত ভ্যানিশ। তুলনায় কিছু কিছু ওয়ার্ডে লড়াই দিচ্ছে বামেরা ও নির্দলেরা। আর সেই ট্রেন্ডই বলে দিচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব হারাচ্ছে বিজেপি(BJP)। একই অবস্থা আরও এক জাতীয় দল কংগ্রেসে্র। দলগত ভাবে তাঁরা কোথাও জয়ের মুখে দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থিরা। যদিও সেই এগিয়ে থাকার মূলে রয়েছে প্রার্থীর নিজস্ব ভাবমূর্তি। একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে আর তা হল সংখ্যালঘুদের আস্থা। আনিস কাণ্ড যাতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। মানুষের আস্থা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে, তৃণমূল কংগ্রেসের ওপরে, রাজ্য সরকারের ওপরে। মনে করা হচ্ছে এদিন বিকালের মধ্যেই ১০৮টি পুরসভার সবকটির ফলাফল ঘোষিত হয়ে যাবে।