নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা থেকে কন্নড়, মালয়ালাম, তেলেগু, তামিল, বলিউড ইন্ডাস্ট্রি-সহ একাধিক জায়গায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিনেত্রী থেকে ক্রু সদস্য, মেকআপ শিল্পী, হেয়ার স্টাইল শিল্পী-সহ কেউই নিস্তার পাচ্ছেনা। হেমা কমিশন গঠন হওয়ার পর মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৭ জন অভিনেত্রী বিরুদ্ধে আনা গিয়েছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। যদিও বলিউডও ব্যতিক্রম নয়। মাঝে মধ্যেই বলিউডের পরিচালক-প্রয়োজক, নানা অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। উঠতি তারকারাও যৌন হেনস্থার কবলে পড়েন। এবার বলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন একজন অভিনেত্রী, যদিও তিনি ২০১৪ সালে পরিচালকের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেছিলেন। এবং এই মামলায় পরিচালককে ২০২২ সালে মুক্তি দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সম্প্রতি দায়রা আদালত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে মহিলার দায়ের করা আপিলের উপর কাপুর এবং আরও একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে।

কাপুরকে ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে আন্ধেরি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খালাস করেছিল। মামলার এফআইআর ২০১৪ সালে দায়ের করা হয়েছিল, মহিলা তার অভিযোগে বলেছেন যে ঘটনাটি ২০২২ সালে তার বাসভবনে হয়েছিল। বিচার চলাকালীন, মহিলা জমা দিয়েছিলেন যে ঘটনার পরে তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন কারণ তিনি কাপুরকে উচ্চ সম্মানের চোখে দেখতেন, এবং তখন তিনি অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করতে সক্ষম হননি। একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, “বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট শ্লীলতাহানির অপরাধে অভিযোগকারীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়ার উপর অতিরিক্ত জোর দিয়েছেন, এই সত্যের প্রশংসা না করে এবং পরীক্ষা না করে যে কোনও নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া হতে পারে না এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমদের একজন পরিচিত ব্যক্তি এবং যেটি নিজেই শিকারের জন্য বিশ্বাসের লঙ্ঘন ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অন্যান্য সাক্ষীদের বক্তব্যসহ অন্যান্য উপাদানগত প্রমাণ বিবেচনা না করে আদালত ভুল করেছেন।”

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার চলাকালীন, দাবি করা হয়েছিল করেছিল যে, এফআইআরটি পরে দায়ের করা হয়েছিল যখন ভিকটিমদের সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল এবং কাপুর তাকে তার ছবিতে ভূমিকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আদালত “পেশাদার ঈর্ষা” এর প্রতিরক্ষা সম্ভাব্য ছিল দাবি করে এই দাখিলটি গ্রহণ করেছিল। তার অভিযোগ এবং তার সাক্ষ্যে ঘটনার তারিখের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অভিনেতা দাখিল করেছেন যে আদালত তার রায়ে ভুল করেছে এবং রেকর্ডে এমন কিছুই ছিল না যে তিনি অভিযুক্তের ছবিতে, অভিযুক্তের কাছ থেকে কোনও ভূমিকা চেয়েছিলেন এবং প্রত্যাখ্যান করার পরে তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন।