নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘Adult’ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মারা গেলেন জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকা থাইনা ফিল্ডস। যিনি মুলত পেরুর বাসিন্দা ছিলেন। সূত্র বলছে, অভিনেত্রী তাঁর নিজের শিল্পজগতেই অপব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন। যেটি তিনি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এই সপ্তাহে শুরুর দিকে তাঁকে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। থাইনা ফিল্ডস পেরুর সেরা পরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকাদের মধ্যে একজন ছিলেন।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর একজন ফিল্ম পরিচালক। যদিও তিনি এই বিষয়ে গণমাধ্যম কে আর কিছু জানাতে রাজি হননি। অভিনেত্রীর একজন বান্ধবী বলেছেন, পর্ণ ছবিতে অভিনয়ের জন্যে তিনি পরিচাতি পেলেও তাঁকে যেন ইতিবাচক আলোতে মনে রাখতে সবাই। অভিনেত্রীর বান্ধবী আরও বলেছেন যে, “বন্ধুরা, আমি সবাইকে কেবল তার জন্য প্রার্থনা করতে বলব। সে যেখানে আছে, শান্তিতে থাকুক, সে একজন ছোট্ট দেবদূত ছিলেন।”
অভিনেত্রীর প্রযোজনা সংস্থা মিল্কি পেরুও তাঁর মৃত্যুর জন্যে শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সংস্থা তাঁদের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “আমরা এটি বিশ্বাস করতে পারি না, আমরা আপনাকে ছাড়া আরও কাজ কী করে করব, আমরা আপনাকে আরও একবার দেখতে চাই। আমরা আশা করি কেউ আমাদের এই খারাপ স্বপ্ন থেকে জাগিয়ে তুলবে, আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। আমাদের আপনার জীবনের অংশ হতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।”
সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগেই প্রয়াত অভিনেত্রী একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, প্রাপ্তবয়স্ক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি মারাত্মকভাবে যৌন হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন। ঘটনাটির প্রায় ৮ মাস আগে ঘটেছিল। তাঁর মৃত্যুর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। থাইনা ফিল্ডস ওরফে অ্যাবিগেল এই ঘটনার কথা আট মাস আগে প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে তিনি জানান, “আমি প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার পরে মারাত্মকভাবে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। প্রথমে অনেকে ভেবেছিল যে আমাকে এই ধরনের অভিনয়ে সুযোগ দিয়ে তারা আমার সঙ্গে যা চায় তা করতে পারে। প্রতিদিন বাড়িতে এসে আমি স্নান করতে করতে কাঁদতাম। এটা আমার সঙ্গে অনেকবার ঘটেছিল। একজন মহিলা হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে কাজ করা যে কী কঠিন তা আমি হারে হারে টের পাচ্ছি।”