নিজস্ব প্রতিনিধি: নিউমোনিয়ার কামড় সঙ্গে করোনার কাঁটা, এই দুই ফলাতে বিদ্ধ ‘কিন্নরকণ্ঠী’ লতা মঙ্গেশকর। গত শনিবার থেকেই মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছিল লতা মঙ্গেশকরের। তার মাঝেই দু’দিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন ‘ভারতরত্ন’। তাতে কিছুটা হলেও উদ্বেগ বেড়ে যায় লতা মঙ্গেশকরের অনুগামীদের মধ্যে। তবে গতকালই গায়িকার চিকিৎসক ডাঃ প্রতিত সামদানি জানিয়েছিলেন আগের তুলনায় সুস্থ রয়েছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবুও বয়সটাই চিন্তা বাড়াচ্ছিল চিকিৎসকদের।
বৃহস্পতিবার সেই বিষয়ে বেশি চিন্তা না করতেই বলেছেন লতার বোন তথা প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। সংবাদমাধ্যমকে আশা বলেছেন, ‘হাসপাতালে আমাদের কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি একবার গিয়েছিলাম দিদিকে দেখতে কিন্তু আমাকে হাসপাতালের ভিতরেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোভিড অতিমারীর কারণে কড়া বিধি নিষেধ জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমার নিজের হাল্কা কাশি রয়েছে তাই আমিও বেশি জোর করিনি। আবহাওয়া বদল হলে এই কাশি হয়। তবে দিদি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে।’
লতা মঙ্গেশকরের বোনঝি রচসা শাহের তরফেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে ‘কিন্নরকণ্ঠী’র অসুস্থতার কথা। তিনি সমস্ত অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ‘সবার প্রার্থনা কাজে এসেছে। উনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০-১২ দিন আইসিইউতেই রাখা হবে লতা মঙ্গেশকরকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বোন উষা মঙ্গেশকর।