নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার তপ্ত দুই কেন্দ্র হল হুগলি আর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। কারণ দুই প্রান্তেই তৃণমূল-বিজেপির মোক্ষম হাতিয়ার তারকা প্রার্থী। দুই প্রান্তেই এখন পাখির চোখ। হুগলির কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায় এবং বিজেপি লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তিনবারের বেশি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব এবং বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ। প্রতিদিনই প্রচারে গিয়ে একে অপরকে বিঁধছেন তারকা প্রতিদ্বন্দ্বীরা। অভিনয়ে বন্ধু তাঁরা, কিন্তু রাজনৈতিক ময়দানে বিরোধী। তাই বন্ধুত্ব এখানে খাপ খায় না। যাই হোক, বুধবার গোটা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম নবমী। তবে ভারতে এবার রামনবমী নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা। কারণটা অবশ্য সবারই জানা, ৫০০ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে রাম জন্মভূমি অযোধ্যাতে হয়েছে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
যার জন্যে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন ভারতবাসী। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম রামনবমী। ইতিমধ্যেই রাম লালার সূর্য তিলক অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। অযোধ্যার পাশাপাশি দেশের বহু জায়গায় জমকালোভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাম নবমী। এদিন রামনবমী উপলক্ষে ঘাটালে পুজো দিয়ে প্রচারে নেমেছেন দেব। আর দেবের মুখে শ্রীরাম জয়ধ্বনি শুনে বিরোধী দল রীতিমতো তেঁতে উঠেছে। কারণ জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপির স্লোগান। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন দেবও। হিরণ দেবকে ঠুকে বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করছে তৃণমূল। পাল্টা বিরোধী প্রার্থী হিরণকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে দেবের যোগ্য জবাব, বিজেপি প্রার্থী যদি ইফতার পার্টিতে যেতে পারেন, তিনিও রামনবমী পালন করতে পারেন নিষ্ঠাভরে। বুধবার ঘাটালে দু’টি পৃথক জায়গায় রামের পুজো দেন তৃণমূলের দেব এবং বিজেপি প্রার্থী হিরণ।
দু’জনেই বলে ওঠেন, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। পুজো দিয়েই নিজের এলাকায় প্রচারে নেমে পড়েন দেব। ঘাটালের কুশপাতা এলাকায় পুজো দিয়ে দেব বলেন, আজ কাউকে কটাক্ষ করবেন না। পবিত্র দিনে কাউকে ছোট করে দিনটা নষ্ট করতে চান না। রাম কারও একার নয়। রামভক্তেরা সব দলেই কোথাও না কোথাও আছেন। ঠাকুর তো কারও একার হতে পারে না। ছোটবেলায় বাবা-মা যা শিখিয়েছেন, বড় হয়ে যা বুঝতে পেরেছি, তা হল ধর্ম মানেই শান্তির বার্তা দেওয়া।