নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ তথা কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দনা। হ্যাঁ, বুধবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি। কিন্তু চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। অভিনেত্রী বেঁচে রয়েছেন এবং তিনি একেবারেই সুস্থ। কিন্তু এই ভুয়ো খবর রটানোর মানে কী? দিব্যা স্পন্দনা কন্নড় এবং তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী। তাই তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর গুজব গোটা ইন্টারনেটকে হতবাক করে দিয়েছে। বুধবার, দিব্যার মৃত্যুর খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাত্রই ভক্তরা ‘RIP’ জানাতে শুরু করে। খবরটি অভিনেত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছনো মাত্রই তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিশ্চিত করেন যে, তিনি একেবারেই সুস্থ আছেন, আর বর্তমানে তিনি জেনেভায় ছুটি কাটাচ্ছেন। খবরটি রটানো হয়েছে বেশ কয়েকটি মিডিয়ার দ্বারা। যার মাধ্যমেই খবরটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলেই, অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা মিথ্যা তথ্যটি উড়িয়ে দেন। আসলে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন মানুষের উপকারে কাজ করছে সবসময় তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই কোনও আপত্তিকর নিউজ ভাইরাল হলেই তা একেবারে ঝড়ের বেগে ভাইরাল হতেও দেরি করে না।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়া মাত্রই কংগ্রেসের আইটি সেলের চেয়ারম্যান কেটি লক্ষ্মী এই গুজবগুলি উড়িয়ে দিয়ে “১০০% ভুল” বলে অভিহিত করেছেন। এবং তিনি নিশ্চিত করেছেন যে দিব্যা বেঁচে আছেন এবং ভাল আছেন। সম্প্রতি, ২৫ অগস্ট, দিব্যা ইনস্টাগ্রামে তাঁর জেনেভা সফরের একাধিক ছবি পোস্ট করেন। শহরের নৈসর্গিক দৃশ্য, সুস্বাদু খাবার সবটাই ছবিতে ধরা দিয়েছিল।
কে দিব্যা স্পন্দনা?
দিব্যা স্পন্দনার পর্দার নাম রাম্যা স্পন্দনা, তিনি কন্নড় এবং তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী। রাম্যা পুনীত রাজকুমারের ২০০৩ সালের কন্নড় চলচ্চিত্র অভি দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, অনেক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৪ সালের কুত্থু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর কিছু প্রশংসিত সিনেমা হল আকাশ, গৌরম্মা, অমৃতধর, আরাসু, পোলাধবন, মুসাঞ্জেমাতু, সঞ্জু ওয়েডস গীথা, ইত্যাদি। বিশেষত অভিনেত্রী গৌতম বাসুদেব মেননের ভারনাম আয়রাম-এ অভিনয়ের জন্য স্মরণীয়। তিনি কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তবে ২০১৩ সালে, রাম্যা রাজনীতিতে তাঁর কর্মজীবনের জন্য চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন। এখন তিনি কর্ণাটকের মান্ড্যা প্রতিনিধিত্ব করে লোকসভায় সংসদ পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এছাড়াও ২০১২ সালে তিনি যুব কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান হিসাবে কাজ করেছিলেন। কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর সোশ্যাল মিডিয়া ইমেজ বাড়ানোর জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।