এই মুহূর্তে




‘হাসিনা অত্যন্ত স্বৈরাচারী নেত্রী’, বাংলাদেশে ‘ফরাজ’ নিষিদ্ধ, ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফেরালেন হংসল




নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তাল বাংলাদেশ এখন। ছাত্র আন্দোলনে রীতিমতো আগুন জ্বলছে পদ্মাপারে। তবে বিষয়টা এখন আর ছাত্র আন্দোলনে রুখে নেই। সহিংসতার রূপ নিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দাপটে শেষমেশ গতকাল প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আর এরপরেই শুরু হয় হরতাল, আপাতত ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি গোপন আস্তানায় তাঁকে রাখা হয়েছে। অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রচেষ্টায় এখন অশান্ত বাংলাদেশের সেনা। শেখ হাসিনার গণভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাঁর অন্তর্বাস থেকে আসবাবপত্র একে একে সবটাই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমতাবস্থায় দেশে অবিলম্বনে শান্তি ফেরার ডাক দিচ্ছেন তারকারা। তবে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের পুরোনো একটি হিংসাত্মক স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউডের প্রবীণ পরিচালক হংসল মেহতা।

২০২২ সালে হংসল মেহতার চলচ্চিত্র ফরাজ মুক্তি পেয়েছিল। তবে শুটিংয়ে লাগাতার হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন পরিচালক। কারণে ছবিটি ঢাকার সন্ত্রাসী হামলার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের কে নিয়ে ছবি মুক্তি পেলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল ছবি। তাই বাংলাদেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে আর চুপ থাকতে পারলেন না হংসল মেহতা। তিনিও বাংলাদেশের কাছে অপমান হওয়ার কথা স্মরণ করে নিজের X (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখলেন। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরে, যার মধ্যে অভূতপূর্ব জনগণের রাজধানীর রাস্তায় প্লাবিত হওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাংচুর সহ, শেখ হাসিনা প্রধান নেতা হিসাবে পদত্যাগ এবং দেশ থেকে পলায়ন সবটাই এখন গোটা বিশ্বের জানা। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ছবি। এবার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার ৭৬ বছর বয়সী কন্যাকে একজন ‘অত্যন্ত স্বৈরাচারী নেত্রী’ হিসাবে বর্ণনা করলেন হংসল মেহতা। মেহতা লিখলেন, “বাংলাদেশের ঘটনাগুলি দেখে আমাকে ফরাজের মুক্তির গল্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।” তৎকালীন সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ হাইকমিশনার তাকে দেখতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয় ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়’ থেকে দাবি করা লোকেদের দ্বারা প্রায়ই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং ভয় দেখানো হয়েছিল। এবং তাকে জানানো হয়েছিল যে, সিনেমাটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে খারাপ করবে।

তিনি আরও বলেন, “আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি, কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির জন্য আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, অনেকের দ্বারা অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতে জাল মামলা লড়ছি…। এ সব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকার ও যন্ত্রপাতিকে চিত্রিত করেছিল। এটি এমন একটি সরকার যা চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে, তারা কেবল অযোগ্য এবং একজন উচ্চ স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনাকে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করে তাদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছিল এবং এমন একটি গল্প বলার আমাদের অধিকার যা আমাদের সময়ের আয়না, আমাদের যুবকদের সম্পর্কে একটি সতর্কতামূলক গল্প, কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমালোচনা করেছিল।” অভিনেতা জাহান কাপুর হংসল মেহতার চলচ্চিত্র ফারাজে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন , যেটি বাংলাদেশে ২০১৬ সালের সন্ত্রাসী ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এবং অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়াল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে অভিনয় করেছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশকে পাঁচ টুকরো করার দাবি তুললেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা

ভাইকে বাঁচাতে দিদি একাই একশো, ‘জিগরা’ তে বোঝাবেন আলিয়া ভাট, রিলিজ ট্রেলার

খুলল মুখোশ, নয়া রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করল কোটা আন্দোলনকারীরা

তারেক রহমানকে ব্যঙ্গ করায় হিরো আলমকে গণধোলাই বিএনপি কর্মীদের

মাত্র ৪৮-এই সব শেষ! ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত ‘কসৌটি জিন্দেগি’-খ্যাত অভিনেতা

যৌন হেনস্থার অভিযোগে সাসপেন্ড অরিন্দম শীল, প্রতিক্রিয়া লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর