নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘দ্য আর্চিজ’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করতে চলেছেন শাহরুখ খান কন্যা সুহানা খান। আর বলিউডে অভিষেকের আগেই একের পর এক ধামাকা মাচাচ্ছেন তিনি। তবে কী শাহরুখ-কন্যা হওয়ার জন্যেই সহজেই এত সুযোগ পাচ্ছেন সুহানা? প্রশ্ন নেটিজেনদের। মাস কয়েক আগেই জনপ্রিয় বিউটি ব্র্যান্ড Maybelline-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন সুহানা। এবার একেবারে সূবর্ণ সুযোগ তাঁর হাতে। আসলে গতকাল রাতে করিনা কাপুর খান এবং কিয়ারা আদভানির সঙ্গে একটি চমকপ্রদ পোশাকে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নেন সুহানা। তিনজনেই ব্র্যান্ডের জন্যে তাঁরা তিরা ইভেন্টে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু বলিউডে আত্মপ্রকাশের আগেই বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের সঙ্গে একই মঞ্চে সুহানার প্রবেশ একেবারেই হজমযোগ্য হল না নেটিজেনদের।
কারণ করিনা ও কিয়ারা সহজেই কারুর নাম নিয়ে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হননি, এই প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর জন্য তাঁদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছিল, তাই সবাই প্রশ্ন করছে সুহানার যোগ্যতা কী। শাহরুখ খানের মেয়ে? তাই কি এমন সুযোগ পাচ্ছেন তিনি? এদিন একটি সুন্দর লাল পোশাকে অনুষ্ঠানে অত্যাশ্চর্য দেখাচ্ছিল সুহানাকে। বলিউডে স্বজনপ্রীতি বিতর্ক আজও শীর্ষে, বিশেষত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সজনপ্রীতি নিয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছিল বলিউড। তারকা কিডসদের বলিউডে সহজেই সুযোগ করে দেওয়া, যা নিয়ে আজও সমালোচিত তুঙ্গে।
তাই শাহরুখ কন্যার করিনা ও কিয়ারা সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়ানো আবারও সজনপ্রীতির বিতর্ক উস্কে দিল। সুতরাং এত বিতর্কের পর জওয়ান তারকা কন্যা কীভাবে সমস্ত নেতিবাচকতাকে উতরে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। এমনকী শাহরুখ খান নিজেও একজন স্ব-নির্মিত মানুষ, বলিউডে প্রবেশ করার আগে তাঁর কিছুই ছিলেন না, এবং আজ তিনি নিজের দৌলতে, নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সবকিছু অর্জন করেছেন। লুক সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, করিনা কাপুরকে একটি কালো স্টেপলেস গাউনে দেখা গিয়েছে। ন্যুড মেকআপ দিয়ে চেহারা সম্পূর্ণ করেছেন। যেখানে সুহানা খান পরেছিলেন লাল রঙের স্ট্র্যাপলেস গাউন। খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। কিয়ারা একটি প্যাস্টেল সবুজ রঙের হ্যাল্টার টপ এবং পালাজো পরেছিলেন।
২০১৭ সালে কান উৎসবে নেপোটিজম বিতর্ক নিয়ে শাহরুখ বলেছিলেন, “আমি এই আলোচনাটি বুঝতে পারছি না (স্বজনপ্রীতি নিয়ে)। যখন আমি ‘স্বজনপ্রীতি’ শব্দটি শুনি, তখন আমার মনে হয় অন্য ব্যক্তি কথা বলছে। নেপোলিয়ন। যদিও আমি যথেষ্ট ইংরেজি জানি, তবুও আমি একমত বা দ্বিমত– আমি এটা বুঝি না, তাহলে আমি কীভাবে একটি মতামত দিতে পারি? সম্ভাব্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।