নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও বাদ পড়ছিলেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির চর্চিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও হার মেনেছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন ফেরদৌস, মাহিয়া মাহি। কিন্তু ফেরদৌস এই যাত্রায় জয়ী হলেও চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র পাননি মাহিয়া মাহি। গত রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩০০ সংসদীয় আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। যে তালিকায় নাম ছিল না মাহিয়া মাহির। তাঁর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন জিয়াউর রহমান। আসলে এবার বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির বাইরে কেউ মনোনয়নপত্র পাবেন না সেটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সুতরাং স্পষ্ট ছিল যে, মাহি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হওয়ার কারণে দলীয় মনোনয়ন পাননি।
২০ নভেম্বর বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন মাহি, কিন্তু দলীয় প্রার্থী হওয়ার আশা হাতছাড়া হয় তাঁর। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। দিন কয়েক আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ আসনের জন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হয়। ৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে প্রতিটি প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। কিন্তু অভিনেত্রীর সাক্ষরের ক্ষেত্রে কিছুটা গন্ডগোল হওয়ার দরুণ তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন তিনি। অবশেষে মিলল খুশির খবর।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানির পর এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যায় গরমিল থাকায় তিনি বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেলেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহির মনোনয়নপত্রের বৈধতা বলে রায় দিয়েছেন। সুতরাং মাহিয়া মাহির স্বতন্ত্র দলের হয়ে লড়াই বৈধতা পেল। এখন তিনি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী।