নিজস্ব প্রতিনিধি: সেলিব্রিটিদের নিয়ে কোনও বিতর্ক একবার ডানা মেললেই হল, তা মাসভর সোশ্যাল মিডিয়াকে উত্তেজিত করে রাখে। তাই বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের বেশিরভাগ কন্টেন্টের মালিক সোশ্যাল মিডিয়া। যাই হোক, বিশ্বকাপের দিন থেকেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে লেগে গিয়েছে রীতিমতো ধুন্ধুমার। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃষাকে যৌনতাবাদী মন্তব্য করার পর থেকেই দক্ষিণী মহল সরগরম। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে লিও ছবির খলনায়ক তথা অভিনেতা মনসুর আলি খান তৃষাকে নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, তাঁর ইচ্ছে ছিল লিও-তে তৃষার সঙ্গে ধর্ষণের অভিনয় করতে, তাই অভিনেত্রীর সঙ্গে মনসুর আলির কোনও দৃশ্য না থাকায় তিনি বিরক্ত। এই ঘটনার পর থেকেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। তৃষা নিজেও এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁকে সমর্থন করে দক্ষিণী মেগাস্টার চিরঞ্জীবী মঙ্গলবার টুইটারে গিয়ে বলেন, তৃষি সম্পর্কে অভিনেতা মনসুর আলী খানের করা কিছু নিন্দনীয় মন্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। মন্তব্যগুলি কেবল একজন শিল্পীর জন্যই নয়, যে কোনও মহিলা বা মেয়ের জন্যই বিরক্তিকর এবং ঘৃণ্য।
এসব মন্তব্যের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে। তারা বিকৃতির উদ্রেক করে। আমি তৃষা এবং প্রত্যেক মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছি যাদেরকে এই ধরনের ভয়ঙ্কর মন্তব্যের শিকার হতে হয়।” এদিকে বিতর্কের ঝড় উঠতেই মনসুর আলি ২১ নভেম্বর চেন্নাইয়ের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য কখনই ক্ষমা চাইবেন না। তিনি বলেন, “ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। আমার পুরোনো একটি ছবিতেও এরকম একটি সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তখন তারা আমার কাছে ব্যাখ্যা চায়নি। তাদের উচিত ছিল আমাকে ফোন করা বা ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ জারি করা। তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। আমি নদীগড় সঙ্গমকে আমার বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে চার ঘন্টা সময় দেব। তারা বলেছিল আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত। মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে যা খুশি লিখতে পারে। মানুষ জানে আমি কে। মিডিয়া আমাদের দুজনের পাশাপাশি তৃষার বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যা দেখতে পাত্র-পাত্রীর ছবির মতো। আপনারা সবাই কি আমার আরও ভালো ছবি ব্যবহার করতে পারতেন না? কিছু ছবিতে, আমি যদিও দেখতে সুন্দর। সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য বলতে কী বোঝায়? এর অর্থ কি সত্যিকারের জন্য কাউকে ধর্ষণ করা? সিনেমায় হত্যার মানে কী? এর মানে কি তারা সত্যিকারের জন্য কাউকে হত্যা করছে? আমি ভুল কিছু বলিনি। আমি ক্ষমা চাইব না।”
অন্যদিকে মনসুর আলি খানের মন্তব্যে তৃষা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “সাম্প্রতিক একটি ভিডিও আমার নজরে এসেছে যেখানে জনাব মনসুর আলি খান আমার সম্পর্কে জঘন্য এবং ঘৃণ্যভাবে কথা বলেছেন৷ আমি এর তীব্র নিন্দা করছি এবং এটিকে যৌনতাবাদী, অসম্মানজনক, অশ্লীল, ঘৃণ্য বলে মনে করি৷ এবং খারাপ রুচির মধ্যে। তিনি ইচ্ছা রাখতে পারেন কিন্তু আমি তার মতো করুণ কারো সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার না করার জন্য কৃতজ্ঞ এবং আমি নিশ্চিত করব যে এটি আমার বাকি ফিল্ম কেরিয়ারের জন্যও না ঘটে। তার মতো লোকেরা একটি বদনাম নিয়ে আসে মানবজাতির কাছে।”