নিজস্ব প্রতিনিধি: আরিয়ান কাণ্ডের ঘটনাকে ঘিরে তদন্ত করতে গিয়ে উল্টে নিজেই তদন্তের মুখে পড়লেন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। আজ সকালেই তাঁকে ‘ভুয়ো অভিযোগ’ ও ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর কোথায়, আরিয়ান মামলা থেকে তাঁকে সরানোর জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। একটি তাঁর ধর্ম নিয়েও টানাটানি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এই বিষয়ে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টরেট জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং জানিয়েছেন, ওয়াংখেড়ে এমন কাজ করতে পারে তাই অবিশ্বাস্য। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তার উপর তদন্ত করা হবে। ওয়াংখেড়েকে সেই পদে রাখা হবে কিনা তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজনৈতিক হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সমীর। তাঁর মতে, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। সম্প্রতি এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবির জোনাল কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের জন্মপঞ্জী প্রকাশ্যে আনেন। যেখানে জন্ম শংসাপত্রে তাঁর নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। কিন্তু ইউপিএসসি ফর্মে তাঁর নাম সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। তবে এই বিষয়ে বিতর্কে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রী ক্রান্তি রেদকার ওয়াংখেড়ে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী সমীর জন্মগতভাবে হিন্দু। আমরা কখনই অন্য কোন ধর্মে ধর্মান্তরিত হইনি। সকল ধর্মকে সম্মান করি। সমীরের বাবাও হিন্দু, আমার শাশুড়ি ছিলেন মুসলিম, যিনি আর নেই। বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমীরের প্রাক্তন বিবাহ হয়েছিল ও ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয়। ২০১৭ সালে হিন্দু মতে আমাদের বিবাহ হয়।’
আজ এক সাক্ষাৎকারে ওয়াংখেড়ে জানিয়েছিলেন, ‘আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম। বাবা ড্যানদেব কাচুরজি ওয়াংখেড়ে রাজ্য আবগারি দফতরের সিনিয়র ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার মা, প্রয়াত জাহিদা একজন মুসলিম মহিলা। আমি সেই পরিবারের সন্তান, যারা বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। আমি গর্বিত আমার ঐতিহ্যে।’
Me n my Husband Sameer r born Hindus.We hv never converted to any other religion.V respect all religions.Sameer’s father too is hindu married to my Muslim Mom in law who is no more.Sameer’s ex-marriage ws under special marriage act,divorced in 2016.Ours in hindu marriage act 2017 pic.twitter.com/BDQsyuvuI7
— Kranti Redkar Wankhede (@KrantiRedkar) October 25, 2021