এই মুহূর্তে




‘ও যা ছোঁয়, তাই সোনা’, রচনার জন্যে গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে স্বামী প্রবাল বসুর




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতির ময়দানে নেমেই ছক্কা হাঁকালেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। প্রচুর ভোটে জিতলেন, স্ত্রীর সাফল্যে অত্যন্ত গর্বিত প্রবাল বসু। তাঁর বক্তব্য, রচনা যাই ছুঁয়ে দেয়, তাই-ই সোনা হয়ে যায়। ‘দিদি নং ১’-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিযোগী হয়ে আসার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যে, এবার বাংলার দিদি নং ১- রাজনীতিতে। যদিও তুমুল জল্পনা শুরু হলেও এ বিষয়ে কেউই কোনও মুখ খোলেননি। অবশেষে ১০ মার্চ তৃণমূলের জনগর্জন সভার দিন রচনার নাম ঘোষনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হন রচনা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর বিরোধী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাই অনেক ভেবেচিন্তেই এক অভিনেত্রীর বিপরীতে আরেক অভিনেত্রীকে বাছে তৃণমূল। তবে বৃথা গেল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনা। লকেটকে একেবারে নাকানি-চোবানি খাইয়ে বিপুল ভোটে হুগলি থেকে জয়ী হলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। উল্লাস শিহরে! সঙ্গে আগামী ৫ বছরের হুগলির সাংসদ পদে তাঁর জায়গা পাকা হয়ে গেল।

রাজনীতিতে ডেবিউ করেই এমন জয়, সত্যিই অপরিকল্পনীয়। আসলে দিদি নং ১-এর দৌলতে বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে রচনার জনপ্রিয়তা, সেটাই তাঁর আজ জেতার মুখ্য হাতিয়ার। যদিও প্রার্থী ঘোষণার পরেই একেবারে নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। কখনও হুডখোলা গাড়ি আবার কখনও পায়ে হেঁটেই জনসংযোগ সারেন তিনি। সেখানকার মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও লকেটের থেকে প্রচুর সমালোচনা পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তা পাত্তা দেননি অভিনেত্রী। মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাসী তিনি, সেটাই হল, মানুষের ভালোবাসাই তাঁকে জিতিয়ে দিল। এদিকে প্রার্থী হিসেবে রচনার নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর পাশে ছিলেন অভিনেত্রীর স্বামী প্রবাল বসু। তাঁদের ছাদ বহুদিন আলাদা হলেও ডিভোর্স হয়নি।

ছেলের জন্যেই এমনটা সিদ্ধান্ত তাঁদের। সবসময় রচনার পাশে থাকেন তিনি। প্রচারের কাজেও সঙ্গ দিয়েছেন, আবার অভিনেত্রী যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান তখনও পাশে পেয়েছিলেন স্বামীকে। এদিকে সপ্তম দফা ভোটের দিন মাকে হারান প্রবাল, শাশুড়ির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল রচনার। তা নিয়ে আক্ষেপ ছিল প্রবালের। বউমার জয় দেখে যেতে পারলেন না তিনি। তবে স্ত্রীর জয়ে খুশি প্রবাল। মঙ্গলবার জেলাশাসকের অফিসে বউয়ের জয়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রবাল বলেন, “খুবই ভালো লাগছে। এই অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যাবে না। আসলে রচনা এমনই। ও যা ছোঁয় সেটাই সোনা হয়ে যায়। যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই সাফল্য পেয়েছে। গর্বে আমার বুক ফুলে যাচ্ছে।” প্রবালের সঙ্গে বিবাহিত জীবন নিয়ে একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন,আমি ম্যারেড। নট হ্যাপিলি ম্যারেড। ডিভোর্স হয়নি। আমি আমার ছেলের জন্য ডিভোর্সি হইনি। আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে ‘আমার বাবা-মা ডিভোর্সড।’ আমি চাইনি আমার ছেলে সেটা ফেস করুক। তাই আমার ও আমার স্বামী যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বন্ধু হিসেবে থাকব।”

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ব্যবসায়ীকে উপদেশ দিয়ে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে পালাল পোশাক পরা ‘পুলিশ’

রবিতে দুঃসংবাদ, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

ব্যারাকপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা সহ ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতী পুলিশের জালে

ভরা দামোদরের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু মামা – ভাগ্নের

বাঁকুড়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করায় নাবালক ছেলের সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন সাজা প্রাক্তন সেনা কর্মীর

পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়ে মুখ খুললেন কোচবিহারের তৃণমূল মুখপাত্র

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ