নিজস্ব প্রতিনিধি: এমনিতেই তিনি পশু-পাখিদের নিয়ে নানা সময়ে সরব হন। পশু-পাখিদের কোনও আপত্তিকর পরিস্থিতি দেখলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের সুর বইয়ে দেন। হ্যাঁ, নব্বই দশকের অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন মাঝে মধ্যেই পশুদের রক্ষার্থে নানারকম প্রতিবাদ করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে ঘিরেই উত্তাল হয়ে উঠল গোটা নেটপাড়া। কেন?
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সাতপুরা অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন নায়িকা। এই অভয়ারণ্যেই রয়েছে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প। তাই জঙ্গলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু রবিনার এই অভয়ারণ্যের একটি ভিডিও নিয়েই যত সমস্যা। রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কারণ, রবিনার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নায়িকার গাড়ি ব্যাঘ্র প্রকল্পের অনেকটা গভীরে চলে গিয়েছে। একটি বাঘের অত্যন্ত কাছে পৌঁছে নায়িকা বাঘের একটি ভিডিও তুলে নিয়েছেন।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাঘ একটি বাইকের কাছাকাছি গিয়েছে এবং একটি বাঘের ছানা তার মাকে জড়িয়ে ধরে আছে। আর এই নিয়েই যত বিপত্তি। এই ভিডিও নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেন সরকারি আমলারা। একাধিক প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী। ২২ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের এই অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন রবিনা। কিন্তু নায়িকার গাড়ি বাঘের এত কাছাকাছি গেল কী করে, সেটাই প্রশ্নের। এমনকী ভিডিওতে একটি বাঘকে তাঁদের দেখে গর্জন করতেও দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে বিপাকে পড়তেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। বুধবার তিনি টুইট করে বলেছেন, বন বিভাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি জিপে তিনি ভ্রমণ করেছিলেন। রবিনা ভিডিওটি নিয়ে আরও বলেছেন, তাঁর সঙ্গে প্রশিক্ষিত গাইড এবং ড্রাইভার ছিল৷ ২৫ নভেম্বর একটি স্থানীয় নিউজ চ্যানেল থেকে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নড়েচড়ে বসেন সরকারি আমলারা।
অভিনেত্রীর উপর অভিযোগ উঠলে তিনি আরও জানান, “বাঘ কখন, কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা কেউই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না। আমি এবং সহযাত্রীরা চুপচাপ বসে বাঘের চলাফেরা দেখছিলাম। আমরা পর্যটন পথেই ছিলাম।” মঙ্গলবার ফরেস্টের সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) ধীরাজ সিং চৌহান বলেছেন, সিনিয়র আধিকারিকদের নির্দেশের পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। রবিনা আপাতত পেশাদার প্রতিশ্রুতির জন্য ভোপালে রয়েছেন। অভিনেত্রী শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিতে গিয়ে একটি ভিডিওও শেয়ার করেছিলেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল কন্নড় ব্লকবাস্টার কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২-এ।
