নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সপ্তাহ থেকেই বলিউড উত্তপ্ত। সুপারস্টার সলমান খানের বান্দ্রার বাড়িতে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলেন সলমান খান বলে জানা যায়। এর আগেও বহুবার মৃত্যু হুমকি পেয়েছেন অভিনেতা। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলবলের নজরে রয়েছেন অভিনেতা। আর জেলে বসেই সলমানকে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটছেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ইতিমধ্যেই সলমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সলমানের বাড়িতে গিয়ে অভিনেতাকে আশ্বাস দিয়ে এসেছেন যে, যেভাবেই হোক লরেন্স বিষ্ণোইকে খতম করবেই তাঁরা। সলমানের বাড়িতেও নিযুক্ত রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। পরে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে সিসিটিভিতে উঠে আসে সলমানের বাড়িতে গুলি কাণ্ডের দুই অভিযুক্তের চেহারা। জানা যায়, দুষ্কৃতীদের ৪ লাখ টাকা দিয়ে এই কাজ করতে বলেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই এবং তাঁর ভাই আনমোল বিষ্ণোই।
বিহার থেকে তারা গুলির প্রশিক্ষণ চালায়। ইতিমধ্যেই যে বাইকে এসে তাঁরা অভিনেতার বাড়িতে গুলির বর্ষণ চালায়, সেই বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর এই মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া সলমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে অভিযুক্ত করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। লরেন্সের পাশাপাশি তার ভাই আনমোল বিষ্ণোইকেও ক্রাইম ব্রাঞ্চের ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে বিষ্ণয়ের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ ও সাক্ষী পাওয়া গিয়েছে। যার ভিত্তিতে বিষ্ণোই ভাইদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলাটি আইপিসির ধারা 506(2), 115, 201 এর অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ক্রাইম ব্রাঞ্চ শীঘ্রই আনমোল বিষ্ণয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করতে পারে। এছাড়াও লরেন্স বিষ্ণোইকে হেফাজতের দাবিতে আদালতে আবেদন করা হবে। তবে সলমানের বাড়িতে গুলি চালানোর পর একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। এতে দাবি করা হয়, লরেন্স বিষ্ণয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই এই হামলা চালিয়েছেন। আনমোল বিষ্ণোই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।
আনমোল বিষ্ণোই নামে একটি অ্যাকাউন্টে পোস্টে বলা হয়েছিল যে, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধের মাধ্যমে নিপীড়নের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিলে যুদ্ধই ঠিক। সালমান খান, আমরা আপনাকে ট্রেলার দেখানোর জন্য এটি করেছি, যাতে আপনি আমাদের শক্তি বুঝতে পারেন এবং এটি পরীক্ষা না করেন। এটাই প্রথম ও শেষ সতর্কতা, এর পর আর কোনো খালি বাড়িতে গুলি চালানো হবে না। আর আমরা দাউদ ইব্রাহিম ও ছোট শাকিলের নামে দুটি প্রাণীকে বড় করেছি যাদেরকে আপনারা ঈশ্বর বলে মনে করেছেন। আমাদের বেশি কথা বলার অভ্যাস নেই।’ অন্যদিকে, সলমান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে গুলি চালানোর মামলার কারণে তিনি তার পেশাদার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। সম্প্রতি তিনি কারাতে কমব্যাট ইভেন্টে দুবাই গিয়েছিলেন। তাকে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দেখা গিয়েছিল। তবে সেখান থেকে তিনি রবিবার ফিরেছেন। আর গুলির ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই সালমান খানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ভক্তরা। তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করে।