নিজস্ব প্রতিনিধি: টলিউডে একদিকে যেমন খুশির খবর, অন্যদিকে শোকের ছায়া। মারা গেলেন কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বুধবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের নিজের বাড়িতেই মারা যান তিনি। টলিউডের দাপুটেে সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন তিনি। সত্যজিৎ ছাড়াও তরুণ মজুমদার, তপন সিংহ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, রাজা সেনের মতো একাধিকবার পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সৌমেন্দুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড। ১৯৫৪ সালে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় সৌমেন্দুর (জন্ম ১৯৩২)।
তাঁর হাত ধরেই টলিউডের চত্বরে তাঁর প্রতিষ্ঠা হওয়া। সত্যজিতের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’তে সৌমেন্দু ছিলেন সুব্রত মিত্রের সহকারী। এরপর ১৯৬১ সালে সত্যজিতের তিন কন্যা দিয়ে কাজ শুরু তাঁর। কারণ তখন সুব্রত মিত্রের চোখের সমস্যার কারণে কাজ থেকে বিরতি নেন। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়ে একের পর এক দাপুটে পরিচালকের সঙ্গে কাজ শুরু করেন তিনি। আগে সত্যজিৎ রায়ের ডকুমেন্টারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্যুট করেছিলেন। সত্যজিতের সঙ্গে মোট ১৫টি ছবি করেছেন সৌমেন্দুবাবু। পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ বহু সম্মান।
এছাড়াও রূপকলা কেন্দ্রের সিনেমাটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু। তিনি পরিচালকদের সঙ্গে কাটানো নানা মূহুর্ত পরে ‘জীবনস্মৃতি’ নামের একটি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার উপর একটি ৭২ মিনিটের তথ্যচিত্রও নির্মান করেছিলেন অরিন্দম সাহা সর্দার। তবে পারিবারিক জীবনে অবিবাহিত ছিলেন সৌমেন্দুবাবু। দাদার সঙ্গেই থাকতেন। আর সিনেমা, সিনেমা সংক্রান্ত পড়াশোনা নিয়ে শেষ বছর গুলি কাটিয়ে ছিলেন।