এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

খুব শীঘ্রই শচীন দেব বর্মনের বাংলাদেশের প্রসাদটি রূপান্তরিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে, জানুন বিস্তারিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকার শচীন দেব বর্মণের প্রাসাদটি খুব শীঘ্রই একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত হতে চলেছে। বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সম্প্রতি এই প্রকল্পটির জন্য ১.১০ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৬ লাখ টাকা) মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশিষ্ট লেখক এবং আইনজীবী গোলাম ফারুকের রচিত শচীন দেব বর্মনের জীবন কাহিনীর উপর বর্ণিত একটি ৫৯৬ পৃষ্ঠার বই থেকে জানা যায় যে, কিংবদন্তি সুরকার রাহুল দেব বর্মনের পিতা শচীন দেব বর্মণ, ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি জন্মের প্রথম ১৮ বছর কুমিল্লার এই দক্ষিণ চরথা গ্রামের রাজবাড়িতে কাটিয়েছিলেন।

এছাড়াও জানা যায়, তাঁর সঙ্গীত প্রতিভাকে তাঁর বাবার তত্ত্বাবধানে সম্মানিত করা হয়েছিল। তাঁর বাবাও একজন সেতারবাদক ছিলেন। যিনি ত্রিপুরা রাজপরিবারের একজন বংশধর ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে রাজকীয় সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য কুমিল্লায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই শচীন দেব বর্মনের জন্ম, কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে স্কুলিং শেষ করেন তিনি এবং ১৯২৪ সালে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক হন। ফারুক আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রাসাদটি সাত একর জমির উপর নির্মিত, কিন্তু এই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় বছরের পর বছর ধরে পড়েছিল। তাই তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করা হয়েছিল। তবে কুমিল্লার সাংসদ একেএম বাহাউদ্দিন বাহার এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জমিটি বর্তমানে খালি হয়েছে।

বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কথায়, শচীন দেব বর্মনের এই প্রাসাদ, গত ৩০ নভেম্বর, ২০১৭ সালে একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে যখন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে আগরতলা গিয়েছিলেন, তখনই লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দলকে তিনি আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন যে, এই যত শীঘ্রই সম্ভব বাড়িটিকে সংরক্ষণ করা হবে এবং একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও যাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। আর ২০১৭ সালের মে মাসে, হাসিনা যখন কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬ তম জন্মবার্ষিকীতে যোগ দিতে কুমিল্লা সফরে গিয়েছিলেন তখন, সাতটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি, যার মধ্যে একটি ছিল ‘শচীন দেব বর্মণ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’।

কুমিল্লার জেলা কালেক্টর মোঃ কামরুল হাসান বলেন, প্রশাসন বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছিল, মেরামতের জন্যে। যেটির কাজ এখন শেষ করেছে। জেলা প্রশাসন এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুইজন কর্মী বর্তমানে বাড়ির যত্ন নিচ্ছেন। ফারুক, তাঁর রচিত বইতে আরও উল্লেখ করেছিলেন যে, “প্রখ্যাত বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম সহ অনেক প্রতিভা দেব বর্মণের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে গান গেয়ে এসেছেন।” এমনকি পরিত্যক্ত বাড়িটি পাকিস্তান শাসনামলে সামরিক গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গুদামটি অপসারণের পর বাড়ির একাংশ মুরগির খামারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই জায়গাটি ‘কুমিল্লা মুরগির খামার’ নামে পরিচিত হয়।

সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নুর আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে পুকুরে ভাসমান মঞ্চ সহ বাড়ির চারপাশে একটি কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে এবং একটি সঙ্গীত গ্রন্থাগারও পরিকল্পনা করার কথা ভাবা হচ্ছে। শচীন দেব বর্মণ ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় থাকতেন। সেই বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা চলে আসেন তিনি এবং সেখান থেকেই ১৯৪৪ সালে মুম্বাই চলে যান তিনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অসুখী দাম্পত্য জীবন নিয়ে বিস্ফোরক ভাস্বর

বোনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ‘তারক মেহতা’-খ্যাত জেনিফার মিস্ত্রি 

পিতৃ পরিচয় পেতে মরিয়া, রবি কিষাণের DNA টেস্টের দাবি অপর্ণা কন্যার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

প্রচারে গিয়ে মঞ্চ ভেঙে বিপাকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব

কাশীতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রচার, রণবীরের ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর