নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার তামিল অভিনেতা মনসুর আলি খানের ছেলে তুঘলক আলি খান। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মাদক পাচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিরুমঙ্গলম পুলিশ মাদক মামলায় বিশাল অভিযান চালিয়ে অভিনেতার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দিনভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মাদক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে তুঘলকের নিয়মিত যোগসূত্র থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি মাদক পাচারের নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজ ছাত্রসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপরেই গতকাল বিশাল অভিযান চালানোর পরে মনসুর আলি খানের পুত্র তুঘলককে আরও তিনজনের সঙ্গে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।

অতীতে তামিলনাড়ুতে একাধিক আন্তর্জাতিক ড্রাগ সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। যাঁরা নিষিদ্ধ সিউডোফেড্রিন, মেথামফেটামিনের মতো একাধিক মাদকদ্রব্য শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পাচার করত। ওইসব দেশে এই মাদকদ্রব্যগুলির ব্যপক চাহিদা রয়েছে। এরপর থেকেই স্থানীয় পুলিশ এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) তাঁদের সতর্কতা বাড়িয়েছে। ২০২৪ সালে, NCB এবং ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) প্রায় ৩৮০ কোটি মূল্যের মেথ জব্দ করেছিল। এদিকে চেন্নাই পুলিশ সম্প্রতি নাইজেরিয়ান ফিলিপকে গ্রেফতার করেছে, যিনি কার্টেল মেথামফেটামিন তামিলনাড়ুতে পাচার করার জন্যে ভারতে এসেছিলেন। আসলে মেথামফেটামিন চোরাচালান অত্যন্ত লাভজনক। এটি মণিপুরে প্রতি কিলোগ্রামে ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয় এবং চেন্নাইতে ৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়৷

এদিকে তুঘলকের বাবা তথা তামিল অভিনেতা মনসুর আলি খানের বিরুদ্ধে গতবছর বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তামিল অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণন। একটি ভাইরাল ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তৃষা। ভিডিওতে অভিনীত লোকেশ কানারাজ পরিচালিত ব্লকবাস্টার ফিল্ম লিও-তে তৃষার সঙ্গে বেডরুমের দৃশ্যের চিত্র না পাওয়ার জন্যে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই চরম নিন্দা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে মনসুরকে বলতে শোনা যায়, “লিও ছবিতে তৃষার সঙ্গে বেডরুমের কোনও দৃশ্য ছিল না আমার। এতে আমি দুঃখ পেয়েছি। আমি ভেবেছিলাম যে আমি আমার আগের সিনেমাগুলিতে অন্যান্য অভিনেত্রীদের মতো তৃষাকেও বেডরুমে নিয়ে যাব। আমি অনেক ধর্ষণের দৃশ্য করেছি এবং এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়।” ভিডিওটি ভাইরাল হতেই মনসুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তৃষা।