নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ভাইফোঁটা। বাংলার কোণে কোণে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। সেলিব্রিটিরাও এই উৎসবে নিজেদের সামিল করেছেন। কেউ বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন, আবার কেউ ভাই খুঁজতে চলে গিয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম ভাইদের আশ্রমে। হ্যাঁ, গতকাল প্রতিপদে ভাইফোঁটা দিতে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক পৌঁছেছিলেন এমন কিছু ভাইদের খোঁজে, যাদের মধ্যে কেউ হয়তো স্মৃতি হারিয়েছে। শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। বাড়ির ঠিকানা মনে নেই। আর সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ভাইদের কে দেওয়া ভাইফোঁটার ছবি অভিনেত্রী নিজেই ভাগ করে নিলেন তার সমাজমাধ্যমের পাতায়। মঙ্গলবার ‘ঈশ্বর’ সংস্থার বিশেষ ভাবে সক্ষম সদস্যদের ফোঁটা দিলেন নায়িকা। ওই সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে অনেক দিনের আলাপ তাঁর। এদিন সেই অনুষ্ঠানের একটি রিল ভিডিও ভাগ করে নেটপাড়ার মন জিতলেন রঞ্জিত কন্যা। এ দিন যে কখনও ঘটবে, তা কেউ আশাই করতে পারেননি।
তাঁর পোস্ট করা ভিডিও থেকেই হারানো পরিবারকে খুঁজে পেলেন সুজয়। অভিনেত্রীর এক ভক্তের উদ্যোগেই এই সংস্থায় ভাইফোঁটার আয়োজন হয়েছিল। সকলের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটা কাটাতে পেরে খুশি ছিলেন নায়িকা নিজেও। সেখানেই ঘটে গেল এক মিরাক্কেল। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ছবিগুলি দিয়ে তিনি লেখেন, “আমার ভাইফোঁটার ভিডিয়ো দেখে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেয়েছে তাঁর মুর্শিদাবাদের পরিবার। শুভ দিনে এর থেকে ভাল উপহার আর কিছু হতে পারে না।”সেই আনন্দ নিজেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেন কোয়েল। অন্যদিকে প্রতি বছর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতেই ধুমধাম করে ভাইফোঁটা উদ্যাপন করেন তাঁর একমাত্র বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২৩ সালে বালিগঞ্জের বাড়ি ফাঁকা। কেননা এবার তিনি কলকাতায় ভাইফোঁটা দিতে আসতে পারেননি। পুজোর সময়ও মুম্বইতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাই এ বছর তিনি ভেবেছিলেন হয়তো দাদাকে ফোঁটা দেওয়া হবে না। কিন্তু নিয়মে কোনও পরিবর্তন হলনা। দাদা নিজেই এদিন বোনের থেকে ফোঁটা নিতে চলে গেলেন মুম্বইতে। ছবি দিয়ে সে কথা নিজেই জানালেন প্রসেনজিতের।
মুম্বই থেকে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে পল্লবী বলেন, “ব্যাপারটা পুরোটাই কাকতালীয়। ঘটনাচক্রে দাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) এখানে ছিল। আর ভাইফোঁটা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই জানে দাদা কিছুই খান না। তাই আমাদের খাওয়াদাওয়ার কোনও আড়ম্বর নেই। আর উপহার সারা ক্ষণ পরস্পরকে দিতে থাকি। তাই বিশেষ দিনে যে কিছু দিতেই হবে তার কোনও মানে নেই।” এই বছরের অর্ধেক সময় মুম্বইয়েই কাটিয়েছেন প্রসেনজিৎ। সেখানে বেশ কিছু কাজও করেছেন পর পর।