নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় ইতিহাসে প্রথম কোনও শর্ট স্ক্রিপ্টেড তথ্যচিত্র অস্কার পেল। ভারতীয়দের আজকে গর্বের শেষ নেই। জোড়া অস্কারে করে উচ্ছ্বসিত সকল দেশবাসী। কার্তিকি গনসালভিস এবং গুনীত মোঙ্গা নির্মিত তামিল শর্ট নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম হিসেবে অস্কার জিতল। এই ছবিটি কার্তিকির ডেবিউ চলচ্চিত্র, আর প্রথমে বাজিমাত। ছবিটি অস্কারে মনোনীত ডকুটি স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট, হাউ ড ইউ মেজার অ্যা ইয়ার?, দ্য মার্থা মিচেল ইফেক্ট এবং হাউলআউটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সকলকে হারিয়ে একেবারে সেরার শিরোপা জিতে নিল দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স।
একটি হাতির শাবককে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে একটি আদিবাসী দম্পতি যেভাবে তাকে নিজের সন্তানের মত বড় করেছে সেটাই দৃশ্যায়িত হয়েছে এই ছবিতে। ৪১ মিনিটের তথ্যচিত্রটি তামিলনাড়ুর মুদুমালাই টাইগার রিজার্ভের একটি পরিবারকে অনুসরণ করে তৈরি, বোম্মান এবং তাঁর স্ত্রী বেলি, যারা শেষ পর্যন্ত দুটি অনাথ শিশু হাতি – রঘু এবং বোমি ওরফে আম্মুকে দত্তক নিয়েছিলেন। এদিন পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস পুরস্কারটি পাওয়ার পর, এটি উৎসর্গ করেছেন ‘মাতৃভূমি, ভারত’কে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন টুইটারে গিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, ভারতীয় প্রযোজনার জন্য প্রথম অস্কার জয়ী দুই মহিলার চেয়ে ভাল খবর আর নেই। একটি ভারতীয় প্রোডাকশনের জন্য এই প্রথম অস্কার নিয়ে এলো দুই মহিলা৷ সোমবার, বেলিও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
আদিবাসী দম্পতির বেলি বলেন, “বন বিভাগ প্রথম থেকেই রঘুকে দেখভাল করতে বলে। দেখলাম তাঁর লেজ কাটা হচ্ছে। আমি প্রথমে তাঁদের বলেছিলাম, আমি এদের যত্ন নিতে পারি না? এরপর বাড়িতে আলোচনা করে দেখলাম, আমরা তাঁকে নিরাময় করতে পারি। আমরা তাঁর যত্ন নিতে শুরু করলাম। সে বেড়ে উঠল। সেই সময় বোম্মি আসে, মাত্র তিন মাস বয়সে। তাকেও বলা হয়েছিল যত্ন নিতে। আমরা দুধ দিয়েছি এবং এর যত্নও নিয়েছি।” বেলি উল্লেখ করেছেন যে একজন ক্রু সদস্য তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা হাতি বাছুরের জীবন নথিভুক্ত করতে চলেছেন অস্কারে। তাঁরা সরকারের কাছ থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছে। শেষ পর্যন্ত ডকুমেন্টারি একটি পুরস্কার জিতল। এটি বন বিভাগ, মধুমালাই ক্যাম্প এবং আমাদের জন্যও একটি গর্বের মুহূর্ত।