নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিলাসবহুল ফোর্টে বিয়ে হয় বলিউডের বিশিষ্ট নায়িকা পরিণীতি চোপড়া এবং আপনেতা রাঘব চাড্ডার। বলিউডের বিগ ফ্যাট ওয়েডিং নিয়ে মাসভর নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও শেষে রাজনৈতিক নেতার গলাতেই মালা পরান নায়িকা। এই নিয়ে কম বিতর্কও ওঠেনি তখন। যেখানে একসময় পরিণীতি নিজেই জানিয়ে ছিলেন, যা কিছু হয়ে যাক না কেন রাজনীতির কাউকে তিনি কখনও বিয়ে করবেন না। দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম নেতার গলাতেই মালা পরাতে হল নায়িকাকে। আর স্বামী দক্ষ রাজনীতিবিদ হলে কী আর স্ত্রীর অভিনয়ে মন টেকে! শোনা যাচ্ছে, ‘হাসি তো ফাঁসি’ অভিনেত্রী খুব শীঘ্রই রাজনীতিতে যোগ দেবেন। রাগনীতি জুটি পাঞ্জাবি রীতিতে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে প্রায়শই এই দম্পতি সামাজিক মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করে সুখী বিবাহিত জীবনের আভাস দেন। সম্প্রতি, পরিণীতিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে যোগদানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের জবাবে পরিণীতি চোপড়া বলেন, “আমাদের সফল দাম্পত্যের রহস্যটা বলি। তিনি বলিউড সম্পর্কে কিছুই জানেন না, আর আমি রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই জানি না! তাই, আমি মনে করি না আপনি আমাকে রাজনীতিতে যোগ দিতে দেখবেন। যদিও আমরা দুজনই জনজীবনে আছি, তবে সারা দেশ থেকে এত ভালোবাসা পাব তা আমাদের ধারণা ছিল না। আমি মনে করি আপনি যদি সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন তবে বিবাহিত জীবন সেরা।”
তাঁর জীবন সম্পর্কে অভিনেত্রী আরও বলেন, “সঠিক কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে, আমরা প্রায়শই লোকেদের গর্ব করে বলতে দেখি যে তারা কীভাবে সময়মতো খাওয়া বা ঘুমাতে পারেনা কারণ তারা কাজে ব্যস্ত। তারা এটিকে সম্মানের নজরে দেখেন, ব্যক্তিগতভাবে, আমি মনে করি না এটি জীবন যাপনের সঠিক উপায়। আমি সত্যিই কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি তবে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ছুটিতে যেতে পছন্দ করি। যখন আমি ৪৫ বা ৯০ বছর বয়সী হই, তখন আমার পিছনে ফিরে তাকাতে হবে এবং অনুভব করতে হবে যে আমি আমার জীবনকে যেভাবে করা উচিত সেভাবে জীবনযাপন করেছি।”
বিয়ের পরদিন অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে অফিসিয়াল পেজে বিয়ের অ্যালবাম শেয়ার করেছিলেন। বিয়েতে রাঘব সাদা শেরওয়ানি এবং, পরিণীতি একটি ক্রিম এবং সোনালি বিয়ের লেহেঙ্গা পরেছিলেন। পরিণীতির কাজিন, অভিনেতা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিয়েতে উপস্থিত না হলেও তিনি বোনকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। পরিণীতি চোপড়া এবং রাঘব চাড্ডার প্রাক-বিবাহের উত্সব দিল্লিতে একটি আরদাস অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। সেখানে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি সুফি রাত্রি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উদয়পুরে, তাদের মেহেন্দি এবং হলদি অনুষ্ঠানের পরে সঙ্গীত ছিল। ১৩ মে দিল্লিতে পরিণীতি এবং রাঘবের বাগদান হয়েছিল।