নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের নোপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ঘিরে অনেক টালমাটাল পর্ব চলেছিল বলিউডে। অনেকের দাবি ছিল, বলিউডের স্টারকিডের প্রভাবে অসংখ্য নতুন প্রতিভা বলিউডে সুযোগ পায়না, এমনকী ছোট শহরের ছেলে-মেয়েদের কোনো ঠাঁই নেই বলিউডে। কিন্তু এরকম চিন্তা-ভাবনা বলিউডের অনেক তারকারাই নস্যাৎ করে দিয়েছে, তাঁদের অসম্ভব অভিনয় সত্ত্বার দ্বারা। এমনকী সুশান্ত সিংও তাঁদের মধ্যে একজন। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত, সেই রহস্য এখনও ভেদ হয়নি।
তবে তাঁর মৃত্যুর পর পরই বলিউডে নেপোটিজম বিতর্ক মাথাচারা দিয়ে উঠেছিল। যাই হোক সেই জল্পনা-কল্পনা অনেকদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের আলোড়ন তুলেছে এই নেপোটিজম বিতর্ক, ‘আর্চিস’ এর কারণে। কারণ সদ্য রিলিজ হয়েছে, শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান, অমিতাভ নাতি অগস্ত্য নন্দা এবং শ্রীদেবী কন্যা খুশি কাপুর অভিনীত ‘আর্চিস’ এর পোস্টার এবং গান, এই ছবিটির মাধ্যমেই অভিনয়ে ডেবিউ করছেন এ সকল স্টারকিড রা। আর এই ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ট্রোলিং শুরু হয়েছে।
এই ছবি ২০২৩ সালে মুক্তি পাবে, অনলাইনে প্লাটফর্ম Netflix- এ। ছবিটির পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ছবিটি পাশ্চাত্য দেশীয় মাপকাঠিতে তৈরি হচ্ছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াবাসীদের মধ্যে অনেকেই, এই ছবিটিকে পশ্চিমা দেশের ছবি বলে নিন্দা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয়রা কী আর্চিস সম্পর্কে কিছু জানে না! এই কারণেই এই ছবি শুধুমাত্র অভিজাতদের জন্য? তবে সবচেয়ে বড় বিষয়, এই চার স্টারকিডদের নিয়ে, যাদের এই ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে লঞ্চ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে, গ্লোবাল সুপারস্টার শাহরুখ খানের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও কেন, ওটিটির মাধ্যমে ডেবিউ করছেন সুহানা খান, সেই নিয়েও ট্রোলড করা হয়েছে।
অভিনেতা গুলশান দেবাইয়া টুইটারে লিখেছেন, “চিন্তা নেই, হিন্দি চলচ্চিত্র প্রেমিকরা নিঃসন্দেহে বলিউডের তারকাদের দ্বিতীয়/তৃতীয়/চতুর্থ প্রজন্মের ডেবিউ ছবি দেখবেন, আশা করি স্বজনপ্রীতি নিয়ে তাঁদের আর কোনও অসুবিধা হবে না।’ ‘আর্চিস’ ছবিটি তৈরি করেছেন রীমা কাগতি ও জোয়া আখতার। ২০২৩ সালে মুক্তি পাবে এই ছবি অনলাইন প্লাটফর্মে। মেয়ের ডেবিউ প্রসঙ্গে শাহরুখ খান লিখেছেন, “মনে রাখবে সুহানা, তুমি ছবিতে কখনই নিখুঁত হবে না, কিন্তু সবসময় মনে রাখবে একজন অভিনেতা হিসাবে সবসময়ে সদয় থাকবে।অভিনেত্রী হিসেবে এটাও মাথায় রাখবে যে, পর্দায় যে টুকু অংশ তোমার ভাগে পড়বে, সেটাই তোমার! এগিয়ে যাও এবং হাসি খুশি থাকো।”