এই মুহূর্তে




সত্যিকারের নেশায় চুর হয়ে ‘দম মারো দম গানের শুটিং করেন জিনাত আমন!




নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হরে রামা হরে কৃষ্ণ’, বলিউডের একটি আইকনিক ছবি। যাতে ভাই-বোনের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দেব আনন্দ এবং অভিনেত্রী জিনাত আমন। ‘ফুলো কা তারো কা, সব কা কেহনা হ্যায়, এক হাজারো ম্যায় মেরি বেহনা হ্যায়’, ছবির এই গানটি আজও নস্টালজিক করে তোলে। ছবিতে একজন ‘নেশায় আসক্ত’ মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিনাত আমন। ছবির আরেকটি হিট গান ছিল, ‘দম মারো দম’। যা আজও সিনেপ্রেমীদের কাছে প্রিয়। মোট কথা ছবির কাহিনী থেকে সংলাপ, গান, তারকাদের অভিনয় সবটার জন্যেই ছবিটি ব্লকবাস্টার তকমা পেয়েছিল। তাই আজও ছবিটি নস্টালজিক করে তোলে দেশবাসীদের। বিশেষ করে জিনাত আমনের অভিনয় সত্তরের দশকে সিনেমার পর্দায় ঝড় তুলেছিল।

রূপ-যৌবন-গ্ল্যামারের এমন টানটান সহাবস্থান তখনকার দিনে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। ছবিতে নায়িকা ও খলনায়িকা, উভয় চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী জিনাত আমন।জিনাতের শরীরী ভাঁজ, চোখের চাওনি নিমেষেই পুরুষ হৃদয়ে ঝাঁকুনি দিত। তবে ছবিতে নেশায় আসক্ত মহিলার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে সত্যিই কি অভিনেত্রী জিনাত আমন কলকে তথা ছিলিম পান করতেন, চলতি কথায়, ছবির দৃশ্যগুলিকে বাস্তবে পরিপূর্ণতা দিতে অভিনেত্রী কি সত্যিই গঞ্জিকা টেনেছিলেন অভিনেত্রী? অবশেষে ৫৩ বছর পর অভিনেত্রী নিজেই ছবিতে নেশায় আসক্ত মহিলার চরিত্রে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন। জানালেন, এই ছবিতে অভিযোগ করতে গিয়ে তাঁকে সত্যি গাঁজা টানতে হত। যার জন্যে তাঁর চলাফেরার শক্তি থাকত না। মনে হত, আকাশে ঘুড়ির মতো উড়ছেন তিনি। অভিনেত্রীর কেরিয়ারের শুরুর দিকের ছবি ছিল এটি। ভাল মেয়ের খারাপ হওয়ার গল্পে কষ্ট পেয়েছিলেন দর্শকমহলও। তবে অভিনেত্রীর দুর্দান্ত অভিনয় ভারী পছন্দের ছিল ভক্তদের। এই ছবির বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে।

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Zeenat Aman (@thezeenataman)

ছবিতে দেখানো হয়েছিল, মাদক সেবনকারী হিপ্পিদের সঙ্গে অভিনেত্রীর দিন কাটত। সোমবার রাতে ছবিতে তাঁর গঞ্জিকা সেবনের স্বীকারোক্তি দিয়ে অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কাঠমাণ্ডুতে হরে রামা হরে কৃষ্ণার শুটিংয়ে ছিলাম। শুটিং চলাকালীন সবসময় আমাকে গঞ্জিকা সেবন করতে হতো। কারণ দেব আনন্দ বলেছিলেন দৃশ্যটা যেন স্বাভাবিক মনে হয়। এর জন্যে একের পর এক ছিলিম টানতে হতো আমাকে। যখন শুটিং শেষ হত তখন আমি চলাফেরার অবস্থায় থাকতাম না, মনে হতো আকাশে ঘুড়ির মতো উড়ছি। হোটেল পর্যন্ত পৌঁছনোর সময় থাকতো না আমার। সারাক্ষণ মাথা ঝিমঝিম করতো। চারপাশে হিমালয়ের সৌন্দর্য যেন আমাকে শান্ত করে রাখত। তখন আমার বয়সটাও কম ছিল। দলের সদস্যরা আমাকে ধরে গাড়ীতে বসাতেন। তাঁরা আমাকে সুন্দর জায়গায় নিয়ে যেতেন। সেই সৌন্দর্য আমাকে শান্থ করত। তবে বেশিদিন মাদক টানতে পারিনি। কারণ আমার মা কোনভাবে খবরটি জেনে যাওয়া মাত্রই আমাকে মাদক সেবন বন্ধ করে দিতে হয়।’ যাই হোক, অভিনেত্রী তাঁর পোস্টের শেষে আশ্বাস দিয়েছে যে, আগামী অক্টোবরে তিনি মুম্বই, দিল্লী, জয়পুর সফর করবেন। তখন এই ছবির বিষয়ে তিনি আরও অনেক আখ্যান শেয়ার করবেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মঞ্জুলিকা’ হতে যুদ্ধ বিদ্যা-মাধুরীর, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর ট্রেলারে চমকে পূর্ণ

‘পশু নিয়ে মজা’, ‘বিগ বস ১৮’-এর ঘরে গাধাকে সরানোর নির্দেশ, নির্মাতাদের চিঠি পাঠাল PETA

প্রযোজকের বিরুদ্ধে শাকিবের আবেদন খারিজ, যাচ্ছেন উচ্চ আদালতে

উৎসবের মরসুমে খারাপ খবর! চিরঘুমের দেশে প্রখ্যাত অভিনেতা টিপি মাধবন

জাতীয় পুরস্কার হাতে নিয়ে কেঁদে ফেললেন মানসী, সান্ত্বনা দিলেন রাষ্ট্রপতি

খুব শীঘ্রই বিয়ে করছেন প্রভাস, জানিয়ে দিলেন অভিনেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর