নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আর্জেন্তিনা-পোল্যান্ড ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের রাস্তায় বিজয় মিছিল। আর্জেন্তিনার পতাকা, জার্সি পড়ে মাঠে নেমে পড়েন আট থেকে আশি। এই ম্যাচ দেখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসানো হয়েছিল তিনটি জায়ান্ট স্ক্রিন। খেলা য়ত গড়িয়েছে, ততই ক্যাম্পাসে আর্জেন্তিনার সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করে। একসময় ক্যাম্পাসে দেখা যায় শুধু কালো মাথার ভিড়। খেলা চলাকালীন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ক্যাম্পাসে নিয়োগ করা হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকদের। এক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছে, আর্জেন্তিনা-পোল্যান্ড ম্যাচ দেখেছিলেন ১২ হাজার মেসি ভক্ত।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তৌসিফ ইমরান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পর ইমরান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি যখন ছোট, সেই সময় বাবার মুখে শুনেছি আর্জেন্তিনার কথা। শুনেছিলাম বিশ্বকাপের বহু গল্প। বাবা বলতেন, আর্জেন্তিনা বেশ একটি বড় দল। ছোট থাকায় ফুটবল ভালো বুঝতাম না। বড় হতে হতে আস্তে আস্তে ফুটবল খেলা বুঝতে শুরু করি। জাতীয়স্তরের ফুটবল ম্যাচ দেখার পাশাপাশি কোপা-আমেরিকার মতো আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল ম্যাচও দেখা শুরু করি। নিজের অজান্তেই আমি আর্জেন্তিনার ভক্ত হয়ে পড়ি। প্রথম গোল হতেই ক্যাম্পাসে তুমুল হর্ষোল্লাস। মেসি ভক্তরা বাজি ফাটিয়ে জয়ের আনন্দ মেতে ওঠে। আর দ্বিতীয় গোল হতেই রাস্তায় শুরু হয় বাইকের দাপাদাপি। প্রত্যেকের হাতে আর্জেন্তিনার জাতীয় পতাকা। মেসি-ভক্তদের সঙ্গে খেলা দেখেছে ব্রাজিল ভক্তরা। আশা, ফাইনালে তাদের সঙ্গে দেখা হবে আর্জেন্তিনার। বিশ্বকাপ জ্বরে বাংলাদেশও কাবু।