নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহা: দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেনি। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও রবিবার রাতে বিশ্বের সবচেয়ে দুঃখী মানুষ তিনি। ম্যাচ শেষে তাঁকে মুখ কালো করে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সান্তনা দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু দেশের প্রেসিডেন্টের সমবেদনাও তীরে এসে তরী ডোবার যন্ত্রণায় বিদ্ধ কিলিয়ান এমবাপ্পের মুখে হাসি ফোটাতে পারল না। ফাইনালে হ্যাটট্রিক সহ প্রতিযোগিতায় আটটি গোল করেও দেশকে বিশ্বকাপ না দিতে পারার যন্ত্রণা হয়তো সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে তাঁকে। যদিও লিওনেল মেসিকে হারিয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছেন।
রবিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জিততে ফরাসি দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই মুহুর্তে বিশ্বের দ্রুততম ফরোয়ার্ড হিসেবে খ্যাত কিলিয়ান এমবাপ্পে। অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধে তাঁকে তেমনভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বলা যেতে পারে ফরাসি আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্রকে নড়াচড়া করার সুযোগ দেননি আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি জ্বলে উঠবেন বলে আশা ছিল ফরাসি সমর্থকদের। কিন্তু কোথায় কী? মেসি-মারিয়া-আলভারেজদের আক্রমণে তখন নাস্তানাবুদ ফ্রান্সের রক্ষণ ভাগ। একের পর এক আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে গিয়ে আক্রমণে যাওয়ার মতো সুযোগ পায়নি গতবারের চ্যাম্পিয়ানরা।
আর তখনই গ্রিক রূপকথার মতো ঠিক ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠলেন ফরাসি দলের প্রধান ভরসা। ৭৯ মিনিট পর্যন্ত যাকে অসহায় মনে হচ্ছিল, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পেই এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে বদলে দিলেন ফাইনালের চিত্রনাট্য। হেরে যাওয়া ম্যাচে ফিরে এল ফ্রান্স। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। ১২০ মিনিটে ফের পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচকে টাইব্রেকারে গড়াতে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু দুই সতীর্থের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব হয়নি।