আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দর্শকের হাজিরার নিরিখে কাতার ভেঙে দিল অতীতের সব রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংগঠন ফিফার তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে ১৩ দিনে ৪৮টি ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামে দর্শকসংখ্যা ছিল ৯৬ শতাংশ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল রাশিয়ার। ২০১৮-তে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল রাশিয়ায়। শনিবার লুসেল স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ৮৮, ৯৬৬ জন দর্শক। খেলা ছিল মেক্সিকো বনাম আর্জেন্তিনার।
কাতার বিশ্বকাপ অন্যদিক থেকে ব্যতিক্রমী হয়ে রইল। এই প্রথম প্রত্যেক মহাদেশের একটি করে দেশ শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল। এশিয়া থেকে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল তিনটি দেশ অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। আর ২০০২ এবং ২০১০-য়ে মাত্র এশিয়া থেকে মাত্র দুটি দেশ শেষ ষোলোয় উঠেছিল। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম আফ্রিকার দুটি দেশ নকআউট পর্বে উঠেছে – মরক্কো এবং সেনেগাল। শেষবার ২০১৪-তে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে দুটি দেশ শেষ ষোলোতে উঠেছিল।
রবিবার ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেনে ওয়েঙ্গার জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপ দেখার জন্য স্টেডিয়ামে এত মানুষ হাজির হতে পারে, সেটা আমাদের ধারণা ছিল না। প্রথমত কাতার একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। তাছাড়া কাতার সরকার একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, হয়তো এবারের বিশ্বকাপে দর্শক হাজিরার সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম থাকবে।
কাতার বিশ্বকাপ আরও একটি কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রোনাল্ডো একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন।