আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের লজ্জার হার নিয়ে এবার খোঁচা দিলেন পাক ‘কাপ্তান’ ইমরান খান। সোমবার রিয়াদে পাক-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামের মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো। আর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক হার্দিক করা প্রয়োজন। তবে রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের হারের পর এখনই পারস্পরিক আলোচনায় বসা যাবে না। এটা আলোচনার পক্ষে একেবারেই শুভক্ষণ নয়।“
২২ গজে ভারতের হার নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য কার্যত আলোড়ন তোলে। ভাষণের ছত্রে ছত্রে ছিল কটাক্ষ আর বিদ্রুপ। এবং ঘুরে-ফিরে থামলেন সেই কাশ্মীরে গিয়ে। উত্থাপন করলেন আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রসঙ্গ।
পাক-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামের মঞ্চে পাক-কাপ্তান বলেন, ‘‘দু’দেশের সম্পর্ক একটি মাত্র জায়গায় আটকে রয়েছে। তা হল কাশ্মীর। ভারত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ৭২ বছর আগে নেওয়া প্রস্তাব মেনে কাশ্মীরকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিলে দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে”।
যদিও ইমরানের এই সদিচ্ছা নিয়ে নানা প্রান্ত থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ওঠার কারণ, ইসলামাবাদ যদি দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও হার্দিক করতে চায়, তাহলে তারা সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করছে না কেন? কেন ভারতের বুকে ঘটে চলা একের পর এক জঙ্গি হামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সুতো সেই পাকিস্তানে? কেনই বা মাসুদ আজহারের মতো কুখ্যাত এক জঙ্গিকে তারা দুধ-কলা দিয়ে পুষে রেখেছে? মুম্বই হামলার নাটের গুরুর বিরুদ্ধে ডসিয়ার দেওয়ার পরেও কেন ইসলামাবাদ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।?