উহানে পৌঁছেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে WHO বিশেষজ্ঞ দল
Share Link:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে বৃহস্পতিবার উহানে পৌঁছেই নিয়ম মেনে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। ‘হু’র বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান পিটার এমবারেক জানিয়েছেন, ‘কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই তদন্তের কাজ শুরু করা হবে।’ উহানে পৌঁচনোর আগেই সিঙ্গাপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫ বিশেষজ্ঞের দলের সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় তদন্তকারী দলের দুই সদস্যকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি চিনের কর্তৃপক্ষ। ওই দুই সদস্য সিঙ্গাপুরে রয়ে গিয়েছেন।
আজ থেকে ১৩ মাস আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথমবারের মতো করোনা রুগী শনাক্ত করা হয়। উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। গত ১৩ মাস ধরে কার্যত মারণ ভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্বজুড়েই ‘ত্রাহি-ত্রাহি’ রব উঠেছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ২৭ লক্ষের বেশি মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ করোনা ছড়ানোর জন্য চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের করোনার উৎস সন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু করার ক্ষেত্রে সম্মতিও দিয়েছিল চিনের শি চিনফিং সরকার। যদিও ‘হু’র বিশেষজ্ঞ দলকে উহানে যাওয়ার অনুমতি দিতে বেশ কিছুটা গড়িমসি করেছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের উহানে পৌঁছনোর কথা থাকলেও অনুমতি দেয়নি বেজিং। আর চিনের এমন আচরণে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ‘হু’ প্রধান টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস। শেষ পর্যন্ত গত ৯ জানুয়ারি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভারপ্রাপ্ত উপমন্ত্রী জেং ইজিন জানান, ‘হু’র বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বেজিং।
এদিন চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিন এর ফুটেজে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ দলটি হাজমাট স্যুট (পিপিই) পরিহিত অবস্থায় উহানে পৌঁছে চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এমন এক সময় ‘হু’র বিশেষজ্ঞরা উহানে পৌঁছলেন যখন দেশটির দুই কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনে রয়েছে এবং একটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আটমাস বাদে মারণ ভাইরাসে ফের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে শি চিনফিংয়ের দেশ।
চিনে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পিটার এমবারেক বলেন, ‘চিনের অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী আপাতত একটি হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকছি। দু’সপ্তাহ বাদে চিনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যাব। ঠিক কী ঘটেছিল তা পুরোপুরি বুঝতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আমার মনে হয় না, প্রাথমিক মিশনেই আমরা পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারব, তবে আমরা কাজে লেগে থাকব।’
আজ থেকে ১৩ মাস আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথমবারের মতো করোনা রুগী শনাক্ত করা হয়। উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। গত ১৩ মাস ধরে কার্যত মারণ ভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্বজুড়েই ‘ত্রাহি-ত্রাহি’ রব উঠেছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ২৭ লক্ষের বেশি মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ করোনা ছড়ানোর জন্য চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের করোনার উৎস সন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু করার ক্ষেত্রে সম্মতিও দিয়েছিল চিনের শি চিনফিং সরকার। যদিও ‘হু’র বিশেষজ্ঞ দলকে উহানে যাওয়ার অনুমতি দিতে বেশ কিছুটা গড়িমসি করেছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের উহানে পৌঁছনোর কথা থাকলেও অনুমতি দেয়নি বেজিং। আর চিনের এমন আচরণে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ‘হু’ প্রধান টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস। শেষ পর্যন্ত গত ৯ জানুয়ারি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভারপ্রাপ্ত উপমন্ত্রী জেং ইজিন জানান, ‘হু’র বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বেজিং।
এদিন চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিন এর ফুটেজে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ দলটি হাজমাট স্যুট (পিপিই) পরিহিত অবস্থায় উহানে পৌঁছে চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এমন এক সময় ‘হু’র বিশেষজ্ঞরা উহানে পৌঁছলেন যখন দেশটির দুই কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনে রয়েছে এবং একটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আটমাস বাদে মারণ ভাইরাসে ফের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে শি চিনফিংয়ের দেশ।
চিনে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পিটার এমবারেক বলেন, ‘চিনের অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী আপাতত একটি হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকছি। দু’সপ্তাহ বাদে চিনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যাব। ঠিক কী ঘটেছিল তা পুরোপুরি বুঝতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আমার মনে হয় না, প্রাথমিক মিশনেই আমরা পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারব, তবে আমরা কাজে লেগে থাকব।’
More News:
18th January 2021
17th January 2021
17th January 2021
17th January 2021
ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন বিশ্বে করোনা মুক্তির মূল চাবিকাঠি, আশ্বাস মোদির
16th January 2021
16th January 2021
16th January 2021
15th January 2021
15th January 2021
Leave A Comment