ভালবাসার ফাঁদ পেতে চূড়ান্ত প্রতারণা, গ্রেফতার ৫ মক্ষিরানী
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: এ ডাক ছিল যেন নিশির ডাক। তা উপেক্ষা করার ক্ষমতা ছিল না কারোর। লিপস্টিকে রাঙানো দুই ঠোঁট, ব্লাউজ থেকে ফেটে পড়তে চাওয়া বুক, উন্মুক্ত নাভি, সরু কোমরের বাঁক --- আর যায় কোথায়। যে পুরুষ দেখবে তারই তো খিদে পেয়ে যাবে। সাধ্য কার এ মায়াবিনীদের হাতছানি এড়ানোর। সত্যি চট করে কেউ এড়াতেও পারত না। আর তাতেই ধেয়ে আসতো বিপদ। মেয়েদের হাতেই বন্দি হয়ে খোয়াতে হত সবকিছু। এবার পুলিশের হাত ধরে ফাঁস হল এই চক্র। গ্রেফতার হল ৫ তরুণী।
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকের ইংরাজি সাজেশন
এতেই শেষ নয়, ওই যুবকের কাছে চাওয়া হত তখন লাখ লাখ টাকা। নাহলে দেখানো হত পুলিশ ঢেকে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়। ছিনিয়ে নেওয়া হত মোবাইল, এটিএম কার্ড, ক্রেডিট কার্ড। বাধ্য করা হত তাদের ইচ্ছামতো টাকা দিতে। আর না দিতে চাইলে বা না দেওয়ার ক্ষমতা চাইলে সেই তরুণটিকে আটকে রাখা হত সেই ঘরেই।
আরও পড়ুন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মত্ত উদ্দাম যৌনতায়, ফাঁস হিনার ভিডিয়ো
দাবি মতো মুক্তিপণ দিলে তবেই ছাড়া হত। আর তা না দিতে চাইলে বা না দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকলে শুরু হত যৌন নির্যাতন। ওই পাঁচ তরুণী মিলে কার্যত ধর্ষণ করত সেই তরুণটিকে। শরীরে যাতে ক্লান্তি না আসে তার জন্য কড়া ডোজের কাম উত্তেজক ওষুধও খাওয়ানো হত সেই তরুণকে। আবার শুধু ওই ৫ তরুণীই নয়, তরুণের দেহের স্বাদ নিতে ঝাঁপ মারত ওই তরুণীদের সঙ্গে থাকা পুরুষ সঙ্গীটিও। তাতেও রেহাই মিলত না, টাকা নিয়ে ওই তরুণের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হত আরও পুরুষদের। চলত ফাঁদে পড়া সেই তরুণটিকে গণধর্ষণের পালা।
আরও পড়ুন ৩১ তারিখ বন্ধ হবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ, কেন জানুন
কি ভাবছেন, নিছক গল্প! নাহ মশাই, খুবই কড়া বাস্তব। পুলিশের কাছে ঘুণাক্ষরেও ছিল না এই গ্যাংয়ের খবর। কারণ এই গ্যাংয়ের শিকার হওয়া পুরুষেরা লোকলজ্জার ভয়ে চেপেই যেতেন এই ঘটনার কথা। টাকা দিয়ে আর অত্যাচার সয়ে তাঁরা মুখ লকোতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক যুবক গোটা ঘটনা জানায় পুলিশকে। সে সব শুনে কার্যত রাতের ঘুম ছোটে পুলিশ কর্তাদের। শেষে ঘটনার সত্যতা নিয়ে গোপনে শুরু হয় খবর নেওয়ার পালা।
আরও পড়ুন মডেলের কবরে হামলা !
সঙ্গে পাতা হয় পাল্টা ফাঁদ। আর তাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ৫ তরুণী আর তাঁদের সঙ্গে থাকা পুরুষটিও। মুহাম্মদ আবু তাহের(৪৮), হামিদা আক্তার রুনা(৩০), মনোয়ারা বেগম মিনু(৩৫), রিয়া বেগম(২৭), জনি রাণী দে(২৪) ও জোবাইদা সুলতানা হিরা(২০) নামের এই ৬জন এখন পুলিশের হেফাজতে। তবে ঘটনাটি আমাদের পড়শি দেশের ঘটনা। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বক্স আলী মুন্সি রোডের ওলি আহাম্মদ কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন শুধু সৌন্দর্যই নয় হবেন ভাগ্যবতীও, জেনে নিন তিল তত্ত্ব
যে বাড়িতে এই ন্যাক্কারজনক কাজ চালানো হত সেখানে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে ১টি লোহার চেন, ১টি ছুরি, ৪টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার টাকা, ১টি দেশি রাইফেল ও ১ রাউন্ড গুলি। জেরায় ওই ৬জন জানিয়েছে, ওই ৫ তরুণী মিলে প্রেমের ফাঁদে ফেলত পুরুষদের। তারপর ডেটিং এর নামে ঘরে ডেকে গৃহবন্দি করে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করত। লোকলজ্জা, পারিবারিক ও সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে ওই সব নির্যাতিত পুরুষেরা মুখ বুজে সব মেনে নিত। নেহাত এবার এক তরুণ পুলিশকে সব জানায় তাই ধরা পড়ে ৬ অপরাধী।
আরও পড়ুন গান গাইতে গাইতে দুধের তিন সন্তানকে খুন করল মা
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকের ইংরাজি সাজেশন
ফাঁদটা বেশ ভালই ছিল। নিজেদের উন্মুক্ত শরীরটাই তুলে ধরত তারা। সে শরীরে যেন বৈশাখীর ঝড়। তাতে বেসামাল হত যুবকেরাও। নিশির ডাকের মতো সেই মোহময়ীদের ডাকে তারা সোজা হাজির হত সেই তরুণীর ডেরায়। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালবাসার বুলি আউড়ে শুরু হত শরীরের খেলা।
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাজেশন
পুরুষের নাক আর ঠোঁট যত ডুব দিত সেই হৃদয়ের উপত্যকায়, নাভির সরোবরে, দুই জানুর মাঝে গভীর খাদে, যতই পুরুষের শরীর হতো জাগ্রত, ততই সে জড়িয়ে পড়ত ফাঁদে। এরপর সঙ্গমের চরমতম মুহুর্তেই নেমে আসত মোক্ষম আঘাত। ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ত আরও কিছু তরুণী। সঙ্গে এক পুরুষও। তুলতো অভিযোগের আঙুল, তরুণীকে ধর্ষণের। বস্ত্রহীন পুরুষ শরীর তখন অসহায়, শরীর লোকাবে নাকি অভিযোগ খণ্ডন করবে।
আরও পড়ুন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ স্ত্রীর
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাজেশন
পুরুষের নাক আর ঠোঁট যত ডুব দিত সেই হৃদয়ের উপত্যকায়, নাভির সরোবরে, দুই জানুর মাঝে গভীর খাদে, যতই পুরুষের শরীর হতো জাগ্রত, ততই সে জড়িয়ে পড়ত ফাঁদে। এরপর সঙ্গমের চরমতম মুহুর্তেই নেমে আসত মোক্ষম আঘাত। ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ত আরও কিছু তরুণী। সঙ্গে এক পুরুষও। তুলতো অভিযোগের আঙুল, তরুণীকে ধর্ষণের। বস্ত্রহীন পুরুষ শরীর তখন অসহায়, শরীর লোকাবে নাকি অভিযোগ খণ্ডন করবে।
আরও পড়ুন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ স্ত্রীর
এতেই শেষ নয়, ওই যুবকের কাছে চাওয়া হত তখন লাখ লাখ টাকা। নাহলে দেখানো হত পুলিশ ঢেকে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়। ছিনিয়ে নেওয়া হত মোবাইল, এটিএম কার্ড, ক্রেডিট কার্ড। বাধ্য করা হত তাদের ইচ্ছামতো টাকা দিতে। আর না দিতে চাইলে বা না দেওয়ার ক্ষমতা চাইলে সেই তরুণটিকে আটকে রাখা হত সেই ঘরেই।
আরও পড়ুন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মত্ত উদ্দাম যৌনতায়, ফাঁস হিনার ভিডিয়ো
দাবি মতো মুক্তিপণ দিলে তবেই ছাড়া হত। আর তা না দিতে চাইলে বা না দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকলে শুরু হত যৌন নির্যাতন। ওই পাঁচ তরুণী মিলে কার্যত ধর্ষণ করত সেই তরুণটিকে। শরীরে যাতে ক্লান্তি না আসে তার জন্য কড়া ডোজের কাম উত্তেজক ওষুধও খাওয়ানো হত সেই তরুণকে। আবার শুধু ওই ৫ তরুণীই নয়, তরুণের দেহের স্বাদ নিতে ঝাঁপ মারত ওই তরুণীদের সঙ্গে থাকা পুরুষ সঙ্গীটিও। তাতেও রেহাই মিলত না, টাকা নিয়ে ওই তরুণের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হত আরও পুরুষদের। চলত ফাঁদে পড়া সেই তরুণটিকে গণধর্ষণের পালা।
আরও পড়ুন ৩১ তারিখ বন্ধ হবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ, কেন জানুন
কি ভাবছেন, নিছক গল্প! নাহ মশাই, খুবই কড়া বাস্তব। পুলিশের কাছে ঘুণাক্ষরেও ছিল না এই গ্যাংয়ের খবর। কারণ এই গ্যাংয়ের শিকার হওয়া পুরুষেরা লোকলজ্জার ভয়ে চেপেই যেতেন এই ঘটনার কথা। টাকা দিয়ে আর অত্যাচার সয়ে তাঁরা মুখ লকোতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক যুবক গোটা ঘটনা জানায় পুলিশকে। সে সব শুনে কার্যত রাতের ঘুম ছোটে পুলিশ কর্তাদের। শেষে ঘটনার সত্যতা নিয়ে গোপনে শুরু হয় খবর নেওয়ার পালা।
আরও পড়ুন মডেলের কবরে হামলা !
সঙ্গে পাতা হয় পাল্টা ফাঁদ। আর তাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ৫ তরুণী আর তাঁদের সঙ্গে থাকা পুরুষটিও। মুহাম্মদ আবু তাহের(৪৮), হামিদা আক্তার রুনা(৩০), মনোয়ারা বেগম মিনু(৩৫), রিয়া বেগম(২৭), জনি রাণী দে(২৪) ও জোবাইদা সুলতানা হিরা(২০) নামের এই ৬জন এখন পুলিশের হেফাজতে। তবে ঘটনাটি আমাদের পড়শি দেশের ঘটনা। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বক্স আলী মুন্সি রোডের ওলি আহাম্মদ কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন শুধু সৌন্দর্যই নয় হবেন ভাগ্যবতীও, জেনে নিন তিল তত্ত্ব
যে বাড়িতে এই ন্যাক্কারজনক কাজ চালানো হত সেখানে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে ১টি লোহার চেন, ১টি ছুরি, ৪টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার টাকা, ১টি দেশি রাইফেল ও ১ রাউন্ড গুলি। জেরায় ওই ৬জন জানিয়েছে, ওই ৫ তরুণী মিলে প্রেমের ফাঁদে ফেলত পুরুষদের। তারপর ডেটিং এর নামে ঘরে ডেকে গৃহবন্দি করে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করত। লোকলজ্জা, পারিবারিক ও সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে ওই সব নির্যাতিত পুরুষেরা মুখ বুজে সব মেনে নিত। নেহাত এবার এক তরুণ পুলিশকে সব জানায় তাই ধরা পড়ে ৬ অপরাধী।
আরও পড়ুন গান গাইতে গাইতে দুধের তিন সন্তানকে খুন করল মা
More News:
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
23rd January 2021
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কিংবদন্তি সাংবাদিক ল্যারি কিং
23rd January 2021
Leave A Comment