আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিডে বিপর্যয়। যার জেরে কার্যত গোটা পাকিস্তান অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। অফিস-আদালত, সরকারি দফতরে কাজ বন্ধ। হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে মানুষ পথ নেমেছে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সরকারের তরফ থেকে বিদ্য়ুৎকর্মীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ন্যাশনাল গ্রিড আচমকাই বসে যায়। ফলে, করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ-সহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। কোয়েত্তা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গুড্ডু থেকে কোয়েত্তার বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুটি গ্রিড সকালে আচমকাই বসে যায়। যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য গ্রিডে। সেগুলি বিকল হতে শুরু করে। সেটা এতটাই যে ইসলামাবাদের ১১৭টি গ্রিড একসঙ্গে বসে যায়। করাচির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎহীন। পেশোয়ারের অবস্থাও একই রকম। সাত সকালে এমন বিপর্যয়ের ফলে প্রভাবিত এলাকার মানুষজন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায়। সরকার আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে, পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।
জিও নিউজকে দেওয়া পাকিস্তানের শক্তি মন্ত্রী খুরম দস্তিগর জানিয়েছে, সোমবার ৭.৩৪. ঘ.-তে আচমকা ইসলামাবাদের ১১৭টি গ্রিড একসঙ্গে বসে যাওয়া পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
আরও পড়ুন বিদ্যুৎ সঙ্কটে ‘অন্ধকারে’ পাকিস্তান, বিয়ে-শাদি আটটায় শেষ করার নির্দেশ