নিজস্ব প্রতিনিধি, তেল আভিভ: কথায় বলে, রতনে রতন চেনে। মুসলিম নিধনের জন্য কুখ্যাত তথা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দারুণ চিনেছেন আর এক যুদ্ধবাজ জো বাইডেন। তাই গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পরেও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি গোটা বিশ্ব গাজা হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতের নৃশংস হামলার পরে ইজরায়েলের নিন্দায় মুখর হলেও ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায়। প্রিয় বন্ধু নেতানিয়াহুর সুরে সুর মিলিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ‘গাজার হাসপাতালে ইজরায়েল হামলা চালায়নি। অন্য পক্ষ (পড়ুন হামাস) হামলা চালিয়েছে।’ যদিও কিসের ভিত্তিতে তিনি হামাসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তা খোলসা করেননি গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নিধনে ইজরায়েলকে ইন্ধন জোগানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, মার্কিন মদতেই গাজা মুসলিম নিধন চালাচ্ছেন ইহুদি ধর্মাবলম্বী ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের হামলার পরেই গাজাকে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি সোমবার মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (যিনি নিজেও কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী ও ইহুদি) ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও সেনা কর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে গাজায় আক্রমণের নীল নকশা চূড়ান্ত করেছিলেন। ওই নীল নকশা চূড়ান্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের খুনে সেনাবাহিনী।
হাসপাতালে হামলা চালিয়ে পাঁচশোর বেশি ফিলিস্তিনিকে খুন করে গোটা বিশ্বে নিন্দার মুখে পড়েই উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। কিছু সুপার ইমোজ ছবি আর অডিও ক্লিপিংস হাজির করে দাবি করেছে, হামাসই গাজার আল আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু খুনে বাহিনী হিসেবে পরিচিত ইজরায়েলি সেনার ওই দাবিকে কেউই বিশ্বাস করছে না। তার কারণ যে হাসপাতালে হামলা চলেছে তা হামাস পরিচালিত। তাহলে অনেক কষ্ট করে গড়ে তোলা নিজেদের হাসপাতাল কেন ধূলোয় গুঁড়িয়ে দেবে হামাস সদস্যরা।