আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জন্ম নিতে না নিতেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে B. 1.1.529। আগে যা শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, ক্রমেই তা অন্যন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ‘প্রবেশ নিষেধ’ দেশের তালিকা ক্রমে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পার্শ্ববর্তী দেশের নাগিরকেরা আপাতত আমেরিকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হতে চলেছে। ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ নির্দেশিকা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। সীমান্ত সিল করে দিয়েছে কানাডা।
কঠোর বিধিনিষেধের পথে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাত দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সাত দেশ হল দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বৎসোয়ানা, জিম্বাবোয়ে, মোজাম্বিক, লেসেথো, এসওয়াতিনি। ওই দেশের সঙ্গে উড়ান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত বাহারিনের। তারাও সাত দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার নটি দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বৎসোয়ানা, জিম্বাবোয়ে, মোজাম্বিক, লেসেথো, এসওয়াতিনি ছাড়াও নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় রয়েছে মালাউই, মোজাম্বিক। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। মেলবোর্ন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ওই দেশ থেকে তাদের দেশে যারা এসেছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ দ্রুত শুরু হবে। তাদের নিভৃতবাসে থাকা বাধ্যতামূলক। ইইউ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিও কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে চলেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠক ছিল। বৈঠক আপাতত বাতিল করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামীদিনে আরও কয়েকটি দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পথে হাঁটবে।
