আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেজিংয়ে বসছে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর। তার আগেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনাভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই ১৪টি প্রদেশে নতুন করে লকডাউনও জারি হয়েছে। তা সত্বেও দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জিয়ানে সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। করোনার তাণ্ডব রুখতে শুক্রবার জিয়ান প্রদেশের ২৬ আধিকারিকের উপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। তবে তাঁদের কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইন্সপেকশনের বৈঠকেই ওই ২৬ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই করোনার আতুরঘর চিনে ফের বেলাগাম তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জিয়ান সহ একাধিক প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। যে সব প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কেউ সেই নির্দেশ অমান্য করছেন কিনা, তার জন্য কড়া নজরদারি চলছে। কিন্তু তা সত্বেও জিয়ানে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে ২৫০ জন আক্রান্ত হলেন। প্রদেশের ১৩ কোটি বাসিন্দাকে নমুনা পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আধিকারিক নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে উদাসীন ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় এদিন তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা। ওই বৈঠকের পরেই বেশ কয়েকজন আধিকারিককে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির জন্য শাস্তি দেওয়া হয়।
তবে এই প্রথম নয়। গত অক্টোবরে ইনার মঙ্গোলিয়া এলাকার দায়িত্বে থাকা একজন সম্পাদককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার আগে অগস্টে ঝাংজাউয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকেও ছাঁটাই করা হয়েছিল।