করোনার উৎস ভারত-বাংলাদেশ, আজব দাবি চিনা বিজ্ঞানীদের
Share Link:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য গোটা বিশ্ব যখন চিনকে দায়ি করছে, ঠিক তখনই মারণ ভাইরাসের উৎসস্থল নিয়ে আজগুবি দাবি করেছেন শি চিনফিংয়ের দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ‘চিন নয়। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হল ভারত কিংবা বাংলাদেশ।’ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেটে’ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করেছেন চিনের সায়েন্স আকাদেমির বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাপত্রে চিনের বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘গত বছর ভারত ও বাংলাদেশে প্রচণ্ড দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই দাবদাহ থেকে বাঁচতে মানুষ ও বন্যপ্রাণিরা একই উৎসের জল পান করেছিলেন। যার ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণি সংস্পর্শের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া, জলের প্রচণ্ড অভাবে বাঁদরের মতো বন্যপ্রাণিরা একে অন্যের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। তার ফলেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।’
চিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তাঁরা। তা থেকে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত চেহারাটাই মারণ ভাইরাসের আসল রূপ হতে পারে। আর ভারত ও বাংলাদেশে করোনার সবচেয়ে কম রূপান্তর ঘটেছে। তাই করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ভারত এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতেই প্রথম ঘটেছে।’ ভারত ও বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, গ্রিস, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও মারণ ভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা।
যদিও শি চিনিংয়ের দেশের গবেষকদের এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারেননি একাধিক বিশেষজ্ঞ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাল জিনোমিক্স অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিকসের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন এ বিষয়ে বলেছেন, ‘চিনের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্র যথেষ্টই ত্রুটিপূর্ণ। তাঁরা গবেষণাপত্রে এমন সব তথ্য এড়িয়ে গিয়েছেন, যাতে স্পষ্ট প্রমাণিত, চিনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।’
গবেষণাপত্রে চিনের বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘গত বছর ভারত ও বাংলাদেশে প্রচণ্ড দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই দাবদাহ থেকে বাঁচতে মানুষ ও বন্যপ্রাণিরা একই উৎসের জল পান করেছিলেন। যার ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণি সংস্পর্শের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া, জলের প্রচণ্ড অভাবে বাঁদরের মতো বন্যপ্রাণিরা একে অন্যের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। তার ফলেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।’
চিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তাঁরা। তা থেকে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত চেহারাটাই মারণ ভাইরাসের আসল রূপ হতে পারে। আর ভারত ও বাংলাদেশে করোনার সবচেয়ে কম রূপান্তর ঘটেছে। তাই করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ভারত এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতেই প্রথম ঘটেছে।’ ভারত ও বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, গ্রিস, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও মারণ ভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা।
যদিও শি চিনিংয়ের দেশের গবেষকদের এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারেননি একাধিক বিশেষজ্ঞ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাল জিনোমিক্স অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিকসের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন এ বিষয়ে বলেছেন, ‘চিনের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্র যথেষ্টই ত্রুটিপূর্ণ। তাঁরা গবেষণাপত্রে এমন সব তথ্য এড়িয়ে গিয়েছেন, যাতে স্পষ্ট প্রমাণিত, চিনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।’
More News:
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
23rd January 2021
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কিংবদন্তি সাংবাদিক ল্যারি কিং
23rd January 2021
23rd January 2021
ক্যাপিটালে আক্রান্ত ২০০ ন্যাশনাল গার্ড, ক্ষমাপ্রার্থী বাইডেন
23rd January 2021
23rd January 2021
22nd January 2021
Leave A Comment