এই মুহূর্তে




৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার, কম্পন অনুভূত ব্যাঙ্ককেও




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুক্রবার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার। দেশজুড়ে অনুভূত হল কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল, ৭.৭ এবং ৭.০। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র। কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, মায়ানমারে জোরালো ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল অক্ষাংশ: ২১.৯৩ উত্তর, দৈর্ঘ্য: ৯৬.০৭ পূর্ব এবং ১০ কিলোমিটার গভীরে। এ নিয়ে চলতি মাসে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমারের মাটি। এদিন দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এদিকে গত ৩ মার্চ মায়ানমারে হওয়া প্রথম ভূমিকম্পের কম্পনমাত্রা ছিল ৪.৩। উৎসস্থলের ১২৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।

তবে শুক্রে ভূমিকম্প যথেষ্ঠ শক্তিশালী ছিল। এমনকী কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে, কলকাতা, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গেও। জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অনেক দূর পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে দেখা যাচ্ছে ভবনগুলিকে। এবং মানুষজনকে আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। একটি ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা গেছে গিয়েছে, আকাশচুম্বী ভবন, যেখানে একটি ইনফিনিটি পুল দুলছে। এবং জল উপচে পড়ছে। মেট্রো ট্রেন দারিয়ে পড়েছে, দুলছে। সেতু ভেঙে পড়েছে। বড় বড় আকাশচুম্বী ভবন ভাঙার একাধিক দৃশ্যের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৪৩ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। 

উল্লেখ্য, এই ধরণের অগভীর ভূমিকম্প গুলি গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক কারণ এগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি বেশি শক্তি নির্গত করে, যার ফলে ভূমিতে তীব্র কম্পন ঘটে। কাঠামোগত ক্ষতি এবং হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যদিও গভীর ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শক্তি হারায়।তবে মায়ানমার একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ, তবুও এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক জাতীয় ভূমিকম্প ঝুঁকি মানচিত্র প্রস্তাব করা হয়নি। ইউরেশিয়ান এবং ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে, মায়ানমার এমন একটি অঞ্চল যেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকির মাত্রা বেশি। আন্তর্জাতিক ভূকম্পন কেন্দ্রের সংক্ষিপ্তসার অনুসারে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর মায়ানমার এবং এর আশেপাশে ৩.০ মাত্রার বেশি বা সমান মাত্রার প্রায় ১৪০টি ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে মায়ানমার মাঝারি এবং বৃহৎ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, যার মধ্যে দীর্ঘ উপকূলরেখায় সুনামির ঝুঁকিও রয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইসলামাবাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন ইরানের

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

শিখ তীর্থযাত্রী বাদে সমস্ত ভারতীয়দের পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন-আকাশ পথ বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের

হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলে কটাক্ষ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

২০ বছর ধরে কোমায় সৌদি যুবরাজ, হাসপাতালের বেডে শুয়েই কাটল ৩৬তম জন্মদিন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর